Today Trending Newsনিউজরাজ্য

নন্দীগ্রামের চায়ের দোকানে চা করে স্থানীয়দের খাওয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী, অভিনব পন্থায় অবাক সকলে

জানকীনাথ মন্দির যাবার পথে হঠাৎ একটি চায়ের দোকানে ঢুকে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর প্রস্তুতির মাঝে রাজনৈতিক নেতাদের বাকবিতন্ডা সরগরম করে রেখেছে গোটা বঙ্গ রাজনীতিকে। নির্বাচনের জন্য গত শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে বিরোধীপক্ষ গেরুয়া শিবির তাদের প্রথম দুই দফা ভোটের ৬০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের আকর্ষণ নন্দীগ্রামে যেমন একদিকে ঘাসফুল সৈনিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক অন্যদিকে গেরুয়া সৈনিক হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী নেতা তথা নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে সবার পাখির চোখ নন্দীগ্রামের দিকে। মমতা শুভেন্দুর হেভিওয়েট লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছে বঙ্গবাসীরা। একদিকে যেমন নন্দীগ্রামে আন্দোলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম দিয়ে নন্দীগ্রাম অঞ্চলে প্রবল জনপ্রিয়তা আছে মুখ্যমন্ত্রীর, ঠিক একইভাবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হওয়ার দরুন ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে শুভেন্দুরও। এই মুহূর্তে কেউ সমীক্ষা করেও বলতে পারবে না এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোটের ফল। তবে নন্দীগ্রামে জেতার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সর্বশক্তি দিয়ে ভোট লড়াইয়ের মাঠে প্রচার করতে নেমে গেছে।

Advertisement

আজ নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রার্থী হিসাবে নিজেকে গ্রামের মেয়ে বলে আখ্যা দিলেন তিনি নিজেই। তিনি বলেছেন, “আমার হারানো ছোটবেলা আমাকে গ্রাম দিয়েছে। কৃষকদের জন্য আমার একটা প্রাণ আছে। আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। গ্রামের জন্য ভালোবাসাটা আমার একটু অন্যরকম। শহরের সব জায়গা আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে এবং এমন কিছু নেই যা দেয়নি। তবুও আমি বারবার গ্রামে ফিরে আসি।” এছাড়াও তিনি আজকে পথযাত্রা করতে গিয়ে একাধিক মন্দির মাজারে যাওয়ার ফাঁকে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন। সেখানে তিনি সবার জন্য চা বানিয়ে নিজে চা খান এবং অন্যদের খাওয়ার জন্য চা বানিয়ে দেন।

Advertisement
Advertisement

আসলে মুখ্যমন্ত্রী আজকে জানকীনাথ মন্দির যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে যান এবং সেখানে চা তৈরি করতে শুরু করেন। অন্যদের জন্য চা করে সবাইকে খাওয়ানোতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন চা দোকানের মালিক। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার দোকানে এসেছেন, তাতেই আমি খুশি।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button