নিউজপলিটিক্সরাজ্য

শুভেন্দুর ইস্তফা, তিন দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে

Advertisement
Advertisement

এইদিন মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র। এই বিষয়ে এইদিন কথা বলতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় গ্রহণ করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ পত্র। আপাতত ওই তিনটি দফতরের সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

Advertisement
Advertisement

রাজ্যপাল আরও বলেন, শুভন্দুবাবু দায়িত্বে ছিলেন তিনটি দফতরের। সেই দফতরগুলি থেকে আজ তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দিয়েছেন তার পদত্যাগ পত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইদিন রাজ্যপালকে জানিয়েছেন এই বিষয়টি।

Advertisement

এই বিষয়ে এইদিন টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি তার টুইটে লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশে এইদিন শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হল। অপর একটি টুইটের মাধ্যমে এইদিন তিনি জানিয়েছেন,শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন তিনটি দফতরের মন্ত্রী। আপাতত সেই তিনটি দফতর অর্থাৎ পরিবহণ, জলসম্পদ এবং সেচ ও জলপথ দফতরের দায়িত্ব নেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

Advertisement
Advertisement

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1332317176787656706?s=20

এইদিন বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিগত কয়েক মাস তিনি ছিলেন রাজনৈতিক সমালোচনার তুঙ্গে। সকলের মনেই প্রশ্ন উঠেছিল তার পদত্যাগকে ঘিরে। অবশেষে এইদিন নিজের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করলেন নেতা। তার মান ভাঙাতে তার সঙ্গে কিছুদিন আগে দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। পরে তার সাথে দুইবার বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তবে তাতেও মানভঞ্জন করা সম্ভব হয়নি তার। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল সেই বৈঠক। অন্যদিকে শুভেন্দুর সাথে সরাসরি কথা হয়নি প্রশান্ত কিশোরের। তার কথা হয়েছে শিশিরবাবুর সাথে।

শুভেন্দুর এই মন্ত্রী পদের থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে এইদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,”শুভেন্দুবাবু খুব শীঘ্রই পার্টি ছাড়তে পারেন। আর সেটাই হবে তৃণমূলের শেষের শুরু। এখন মুষলপর্ব চলছে। আমাদের লোকেরা যোগাযোগ রাখছেন অনেকের সাথেই। শুভেন্দুবাবু যদি আমাদের দলে আসতে চান, তবে ওনাকে স্বাগত। তবে আমার সাথে তার কোনও কথাই হয়নি। তবে বলে রাখি উনি যদি দল ছাড়েন, তবে তার সাথে দল ছাড়বেন অনেকেই। তারপর তৃণমূলের সংগঠন বলে আর কিছু থাকবেনা।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button