Today Trending Newsনিউজরাজ্য

রাজ্যে কমছে করোনা, বিধিনিষেধে ছাড় মমতার, জানুন কী কী ঘোষণা করলেন

আগামী ১৬ জুন অব্দি রাজ্যে বাধা-নিষেধ জারি থাকবে

Advertisement
Advertisement

করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। তাই একাধিক রাজ্যে বাধ্য হয়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রীরা। সেই একই পথে হেঁটেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেন। আসলে দিনের পর দিন অনিয়ন্ত্রিত গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল বাংলায়। দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছিল। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতেই রাজ্য সরকার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগামী ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কঠোর বাধা-নিষেধ প্রক্রিয়া চলবে। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সুফল মিলেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজারের কাছাকাছি কমে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাধানিষেধের সময়সীমা ১৬ জুন অব্দি বর্ধিত করেছেন। তবে এই সময় খুচরো দোকানের দোকানের জন্য বেশকিছু নিয়মের পরিবর্তন করেছেন তিনি।

Advertisement
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন, “দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খোলা থাকবে খুচরা দোকান। সেই সাথে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। এছাড়া আগের মতোই কড়া বিধি নিষেধ আপাতত ১৬ জুন অব্দি চলবে।” এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, “দয়া করে একে লকডাউন কার্ফু এসব বলবেন না। বিধি নিষেধ জারি থাকছে এটাই বলুন।” খুচরো দোকানের সময়সীমা সম্বন্ধে নিয়মের পরিবর্তন ছাড়া আগের মতই সমস্ত বিধি-নিষেধ জারি থাকবে। সেই অনুযায়ী বন্ধ থাকবে সমস্ত গণপরিবহন। সরকারি বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটো, ফেরি ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় বেরোতে পারবে না অটো অথবা ট্যাক্সির মতো কোনো যানবাহন। তবে বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি পরিষেবা চালু রয়েছে।

Advertisement

এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে নির্মাণ কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা যদি ঠিকাদার করে তাহলে তারা মাস্ক পরে এবং সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টো পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। এছাড়া খোলা থাকছে সমস্ত অনলাইন পরিষেবা বা ডেলিভারি সিস্টেম। চা বাগানগুলির ক্ষেত্রে তারা ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। এছাড়া বর্তমানে জুট মিলে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button