ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

এলআইসির এই পলিসির জন্য রয়েছে প্রচুর চাহিদা, জেনে নিন এই প্ল্যানের বৈশিষ্ট্যগুলি

এলআইসি বর্তমানে এই পলিসি নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করছে

Advertisement
Advertisement

লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে বড় বীমা সংস্থা হয়ে উঠেছে। জীবন বীমা সহ আরো অনেক পলিসি তে আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের মাধ্যমে। এলআইসির এরকম অনেক প্রকল্প রয়েছে, যেখানে আপনারা সহজে বিনিয়োগ করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন প্রতি মাসে। মানুষের মধ্যে এই সমস্ত প্রকল্প অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রতিদিন এলআইসি নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে হাজির হয় মানুষদের জন্য। এই কারণে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা সবসময় বেশি থাকে। বেশিরভাগ মানুষ এখানে অর্থ বিনিয়োগ করাটাকে নিরাপদ বলে মনে করেন।

Advertisement
Advertisement

এরকমই একটি নতুন পলিসি নিয়ে আসা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে জীবন আজাদ পলিসি। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকেই মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল এলআইসির তরফ থেকে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সঞ্চয়ের পাশাপাশি নিরাপত্তার সুবিধার প্রদান করা। এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পরিকল্পনা। এই প্রকল্পে ১৫ থেকে ২০ বছরের জন্য আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন। এই জীবন আজাদ পরিকল্পনা তে আপনি নূন্যতম ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। অন্যদিকে এই এলআইসি প্রকল্পের সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা।

Advertisement

এই পলিসি যারা কিনবেন, তাদেরকে মেয়াদ পূর্তির মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হবে। এলআইসির নিয়ম অনুসারে যাদের বয়স আট বছর বা তার বেশি, তারা এই প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন। এই প্রকল্পে প্রিমিয়াম পেমেন্টের মাধ্যমে পলিসি মেয়াদ -৮ বছর ধরা হয়। অর্থাৎ বলতে গেলে আপনি যদি এই পলিসি করার জন্য কুড়ি বছরের প্রিমিয়াম বেছে নেন, তাহলে আপনাকে ২০-৮ = ১২ বছরের প্রিমিয়াম এলআইসি জীবন আজাদ পলিসিতে দিতে হবে। এই পরিকল্পনায় আপনি বার্ষিক, অর্ধ বার্ষিক, ত্রৈমাসিক এবং মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম দিতে পারেন। আপনি যদি এলআইসি আজাদ প্ল্যান এর সুবিধা পেতে চান তাহলে আপনার বয়স ৯০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

Advertisement
Advertisement

অর্থাৎ বলতে গেলে ৯০ দিনের শিশুর নামে আপনি এই পলিসি গ্রহণ করতে পারবেন। এর সঙ্গে আপনার বয়স যদি ৫০ বছর হয় তাহলেও কিন্তু আপনি এই প্রকল্প গ্রহন করতে পারবেন। অন্যদিকে যদি বীমা গ্রহণকারী ব্যক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মারা যান তাহলে এই প্রকল্পের অধীনে তার পরিবারকে সুবিধা দেওয়া হবে। মৃত্যুকালীন সুবিধা বেসিক সাম অ্যাসিওর্ড এর সমান বা বার্ষিক প্রিমিয়ামের সাত গুণ হতে পারে। তবে মৃত্যুকালীন সুবিধা প্রদত্ত মোট প্রিমিয়ামের ১০৫ শতাংশের কম হবে না।

Advertisement

Related Articles

Back to top button