আজকের অর্থনৈতিক সময়ে প্রত্যেকের জন্য বিনিয়োগ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং বিনিয়োগ করে আজকাল অনেক বেশি টাকা রোজগার করাও সম্ভব। কাজ করার সময় আমরা কখন পাবো সেটা আমরা জানি না এবং সেই কারণে পরিবারের প্রয়োজনে বিনিয়োগ টা করে রাখতে হয় সকলকে। এমন পরিস্থিতিতে এলআইসি এই বিনিয়োগের জন্য অনেকগুলি প্রকল্প চালাচ্ছে যার কারণে আমরা সেখানে বিনিয়োগ করে টাকা রোজগার করতে পারছি। আজকে আমরা আপনাকে এল আই সির জীবন আজাদ নীতির ব্যাপারে জানাতে চলেছি। এই পলিসিতে আপনারা এমন কিছু পেয়ে যাবেন যা হয়তো সহজে আপনারা অন্যান্য পলিসিতে পাবেন না। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই জীবন আজাদ পলিসি সম্পর্কে।
লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার জীবন আজাদ পলিসির সুবিধাগুলি এর নাম থেকেই দৃশ্যমান। প্রকৃতপক্ষে এলআইসি জীবন আজাদ পলিসি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যিনি পলিসি কিনবেন সেই গ্রাহকের সুরক্ষা এবং সঞ্চয়ে উভয়ের সুবিধা থাকে। তাই গ্রহণ করলে আপনি সমস্ত ধরনের সুবিধা পাবেন এলআইসি তরফ থেকে। সব থেকে বড় ব্যাপারটা হলো এখানে কিন্তু নোমিনেশন রয়েছে। এর ফলে পলিসিতে মৃত্যু সুবিধা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পে আপনারা বেশ কিছু অসাধারণ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন যার জন্য আপনাকে ৮ বছর কম প্রিমিয়াম দিতে হবে। যদি কেউ কুড়ি বছরের জন্য জীবন আজাদ পলিসি কিনে থাকেন তবে পলিসি ধারকদের কুড়ি বছরের পরিবর্তে শুধুমাত্র ১২ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হবে। তাই ১৮ বছরের পুরনো পলিসির জন্য দিতে হবে ১০ বছরের জন্য প্রিমিয়াম।
এই প্ল্যান কেনার পরে গ্রাহকরা মাসিক ত্রৈমাসিক অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক প্রিমিয়াম পেমেন্ট বিকল্প বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি এই প্ল্যান কেনার কথা ভাবেন তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি জীবন আজাদ পলিসিতে নূন্যতম বিমার পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিমার পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা। এমন পরিচিতিতে যদি একজন ৩০ বছর বয়সী গ্রাহক ১৮ বছরের জন্য এই পলিসি গ্রহণ করেন তাহলে তাকে ১০ বছরের জন্য মাত্র ১২,০৩৮ টাকা জমা করতে হবে। এই গ্রাহকরা পলিসিতে আয়কর আইন 80c অনুযায়ী প্রিমিয়ামে কর ছাড় পেয়ে যেতে পারেন।