বাংলা সিরিয়ালবিনোদন

এ কী অবস্থা ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামার, ফাঁস হল শ্যামার নতুন চেহারা

Advertisement
Advertisement

জি বাংলায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় বাংলা ডেইলি সোপ ‘কৃষ্ণকলি’ নিল আঠারো বছরের টাইম লিপ। সিরিয়ালে এবার দেখতে পাওয়া যাবে শ্যামার মেয়ে কৃষ্ণাকে। সিরিয়ালে সম্প্রতি মৃত্যু ঘটেছে শ্যামার মত দেখতে অথচ ফর্সা আম্রপালীর। মৃত্যুর আগে আম্রপালী তার অপরাধের জন্য নিখিলের কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু ওদিকে ততক্ষণে শ্যামাকে অপহরণ করা হয়। শ্যামাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজ ভেঙে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘটনাচক্রে শ্যামা বেঁচে যায়। কিন্তু তার সমস্ত পূর্বস্মৃতির বিলুপ্তি ঘটে। শ্যামা এসে পৌঁছায় বারাণসী। সেখানে শ্যামা জন্ম দেয় তার ও নিখিলের একমাত্র কন্যাসন্তান কৃষ্ণার।

Advertisement
Advertisement

এরপর কাহিনী এগিয়ে যায় আঠারো বছর। কৃষ্ণা ইতিমধ্যে বড় হয়ে গেছে। সে-ও তার মা শ্যামার মতোই মন্দিরে ভজন গায়, কীর্তন গায়। কৃষ্ণা বারবার তার মা-কে জিজ্ঞাসা করে তার পরিবার সম্পর্কে। কিন্তু শ্যামা কিছুই মনে করতে পারে না। শ্যামা গান গাওয়াও ছেড়ে দিয়েছে। অপরদিকে নিখিল শ্যামাকে না ভুলতে পেরে মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তার জীবনে আসে এক নতুন নারী, সুনয়না। নিখিলের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ‘কৃষ্ণকলি’ সিরিয়ালের প্রোমোতে আঠারো বছরের টাইম লিপ দেখানো হলেও সুনয়নার পরিচয় খোলসা করা হয়নি।

Advertisement

তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে এবার শ্যামার ও নিখিলের কাহিনীর কাহিনীকার আর কেউ নয়, তাদের মেয়ে কৃষ্ণা। কৃষ্ণা কীভাবে তার বাবা-মায়ের মিলন ঘটাবে, দর্শকদের মনে ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে চলেছে। আপাতত এই টাইম লিপ নির্ধারিত করবে ‘কৃষ্ণকলি’র ভাগ্য এবং তার টিআরপি। একসময় ‘কৃষ্ণকলি’র টিআরপি যথেষ্ট বেশী ছিল। কিন্তু সিরিয়ালে নিখিল ও শ্যামার সঙ্গে আম্রপালীর সংসারের আজগুবি চিত্রনাট্য ও শ্যামার বিরুদ্ধে আম্রপালীর ষড়যন্ত্রের গল্প দর্শকদের নিরূৎসাহিত করে তুলেছিল। দর্শকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত কমেন্ট করে জানিয়েছিলেন , তাঁরা সিরিয়ালের মহাসমাপ্তি পর্ব দেখতে চান। কিন্তু এই মুহূর্তে দর্শকদের মধ্যে ‘কৃষ্ণকলি’ নিয়ে আবার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। ‘কৃষ্ণকলি’সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্র শ্যামার ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিয়াসা রায় এবং তাঁর স্বামী নিখিলের চরিত্রে অভিনয় করছেন নীল ভট্টাচার্য। দর্শকরা আবারও নিখিল-শ্যামার অনস্ক্রিন রসায়ন দেখার অপেক্ষায়।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button