বলিউডবিনোদন

উঁকি দিচ্ছে বেবি বাম্প, গর্ভবতী অবস্থায় বেগম পতৌদির ছবি ভাইরাল

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি অভিনেত্রী করিনা কপূর খান তাঁর বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোলাপি রঙের ওয়ার্কআউট ড্রেসে করিনার বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ অবশ্য করিনাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। অনেকেই তাঁর ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এমনকি অনেকে তাঁকে অ্যাবরশন করার কথা বলতেও ছাড়েননি। নেটিজেনদের অনেকেই হয়তো ভুলে যান দিনের শেষে একজন সেলিব্রিটি কিন্তু আদতে একটি রক্তমাংসের মানুষ। তাঁরা হয়তো এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া দেন না। কারণ সমাজ সেলিব্রিটিদের বিশেষ চোখে দেখে। এই লক্ষ্মণরেখা তাঁদের ইমোশনকে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করতে দেয় না। করিনা একজন হবু মা। একজন মা-কে এই ধরনের কটুক্তি করা অমানবিকতার পরিচয় দেয়।

Advertisement
Advertisement

দিওয়ালির আগে করিনা ও তৈমুর হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় পৌঁছেছেন সইফ আলি খান-এর কাছে। ধরমশালায় চলছে সইফ অভিনীত ‘ভুত পুলিশ ‘ ফিল্মের শুটিং। সইফ যখন শুটিং করতে ব্যস্ত থাকেন তখন করিনা তৈমুরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন হিমাচল প্রদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে কিছু সময় কাটাতে। সম্প্রতি করিনা তৈমুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন ধরমশালার ধর্মাকোটে মৃৎশিল্পীদের ডেরায়। মৃৎশিল্পীদের ডেরায় গিয়ে কিভাবে মৃৎপাত্র তৈরী হয়, তা পুত্র তৈমুরকে শেখালেন মা করিনা। তৈমুরও মাটির পাত্র বানাতে খুব আনন্দ পেয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা করিনা কপূর আপাতত কোনো অভিনয় বা মডেলিং-এর কাজ করছেন না। তবে লকডাউনের কারণে যে কাজগুলি বাকি ছিল, সেগুলির শুটিং তিনি শেষ করেছেন। কোন দৃশ্যে তাঁর বেবি বাষ্প বোঝা যাবে না। উন্নত এডিটিং প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁর বেবি বাম্পকে রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিবার ও তাঁর বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন করিনা। তবে এর মধ্যেও করিনা ও সইফের পুত্রসন্তান তৈমুরকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ভাবিত করছে পতৌদি পরিবারকে। এই মুহূর্তে সইফ ও করিনার ভাবী সন্তানকে নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

Advertisement

তৈমুর জন্মগত ভাবে স্টারকিড হলেও তার পরিবার পছন্দ করেন না, তৈমুরের উপর পাপারাৎজির নজর থাকুক। কিছুদিন আগেই করিনা কপূর খানের টক শো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’-এ এসে তৈমুরের ঠাকুমা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন, তিনি চান বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার সন্তান তাড়াতাড়ি পৃথিবীতে আসুক। তাহলে অন্ততঃ তৈমুরের উপর পাপারাৎজির নজর কিছুটা কমবে। শর্মিলার কথায় সম্মতি জানিয়েছেন করিনাও। পতৌদি পরিবার চান, তৈমুর একটি সাধারণ শিশুর মতোই বেড়ে উঠুক। পাপারাৎজির ক্যামেরা তার শৈশবকে বিঘ্নিত করছে বলে মনে করেন তাঁরা।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

Related Articles

Back to top button