নিউজদেশ

Railway Rule: চলন্ত ট্রেনে যদি চালক ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে কি হবে জানেন? জানুন ভারতীয় রেলের নিয়ম

যাত্রীদের সুরক্ষায় ট্রেনে একটি বিশেষ কৌশল আছে

Advertisement
Advertisement

ভারতীয় রেল প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে পরিবহন ব্যবস্থা খুবই ব্যয়বহুল। এমতাবস্থায় গরিব-সাধারণ মানুষের বাজেটে রেল এখনও রয়ে গেছে। রেলওয়ে টেকনোলজির রিপোর্ট অনুসারে, আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার পরে ভারতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক (৬৮ হাজার কিমি) রয়েছে। এত বিশাল রেল নেটওয়ার্ক সামলানো সহজ নয়। এই নেটওয়ার্কে অনেক সময় ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়লে কী হবে? ট্রেনে বসা হাজার হাজার যাত্রী কি বাঁচবে?

Advertisement
Advertisement

আপনাদের জানিয়ে রাখি, চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়লেও ট্রেন কখনোই দুর্ঘটনার শিকার হবে না। এই জন্য অনেক কারণ আছে। ভারতে প্রতিটি ট্রেনে দুজন লোকো পাইলট থাকে। একজন লোকো পাইলট ঘুমিয়ে পড়লেও অন্যজন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। এ ছাড়া বড় সমস্যা হলেও তিনি তার সহকর্মী লোকো পাইলটকে ঘুম থেকে জাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। তবে চলন্ত ট্রেনে ডিউটি ​​করার সময় লোকো পাইলট ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা বিরল। এছাড়াও, এমন অনেক শক্তিশালী প্রকৌশল রয়েছে, যার সাহায্যে এই জাতীয় পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা যায়।

Advertisement

উভয় লোকো পাইলট ঘুমিয়ে পড়লে কি হবে?

Advertisement
Advertisement

ট্রেনে সাধারণত দুইজন লোকো পাইলট থাকেন। তবে, উভয় লোকো পাইলটই যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলেও কিন্তু ট্রেনটি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হবে না। এর পেছনের কারণ জানার আগে এটা জেনে রাখা দরকার যে, ট্রেন চালানোর সময় লোকো পাইলট কোনো ধরনের অ্যাকশন করলে ইঞ্জিন বুঝতে পারে চালক জেগে রয়েছেন। ধরুন, চালক যদি ব্রেক চাপেন, গতি বাড়ান, তাহলে ইঞ্জিনের কাছে বার্তা পৌঁছে যায় যে, চালক সক্রিয়।

কখনও কখনও ট্রেনগুলি এক গতিতে চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে, লোকো পাইলট ব্রেক লাগাতে পারে না বা গতি বাড়াতে পারে না। শুধু তাই নয়, অনেক সময় লোকো পাইলটদের হর্ন বাজানোরও প্রয়োজন হয় না। এ অবস্থায় ইঞ্জিনে কোনো বার্তা পৌঁছায় না। এমন পরিস্থিতিতে লোকো পাইলটকে সময়ে সময়ে ইঞ্জিনে লাগানো ডেড ম্যান লিভার টিপতে হয়। ডেড ম্যান লিভার একটি বিশেষ ডিভাইস যা ইঞ্জিনকে নির্দেশ করে যে ড্রাইভার সক্রিয়। চালক যদি প্রতি ২-৩ মিনিটে এই ডিভাইসটি না চাপেন তবে ইঞ্জিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেবে এবং কিছু দূর যাওয়ার পরে থামবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button