দেশনিউজ

পরিবেশ দূষণ রুখতে অভিনব পদক্ষেপ রেলমন্ত্রকের

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বেশ কয়েক মাস ধরে রেল পরিষেবা স্তব্ধ ছিল গোটা দেশে। ধীরে ধীরে আনলক পর্বে ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি রেল পরিষেবা। এরই মাঝে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলমন্ত্রক। দূষণ কতটা মারাত্মক হতে পারে তার জীবন্ত উদাহরণ হল দিল্লি। যেখানে বাতাসের দৃশ্যমানতা একেবারে তলানীতে এসে ঠেকেছে যে, চোখ খুলে রাস্তায় বেরিয়ে তাকানোর উপায় নেই। তীব্র শ্বাসকষ্ট ও চোখ জ্বলার জেরে কার্যত জেরবার রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবন। এমন অবস্থায় পরিবেশ দূষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক অভিনব পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেলমন্ত্রক। প্লাস্টিক কাপের ব্যবহার বন্ধ করে রেলস্টেশনে মাটির ভাঁড়ের স্মৃতি আরও একবার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর রেল।

Advertisement
Advertisement

রাজস্থানের আলওয়াড় জেলার উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ের দিগাওয়াড়া রেলওয়ে স্টেশনের একটি ইলেকট্রিফায়েড রেল সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এ কথা জানিয়েছেন তিনি বলেছেন,’ প্লাস্টিক-ফ্রি ইন্ডিয়া মিশন সফল করতেই রেলওয়ের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রীর কথায়, বর্তমানে দেশের প্রায় ৪০০টি স্টেশনে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি হয়। সবাই মাটির ভাঁড়ই ব্যবহার করেন। আর সেই সূত্রেই দেশের সমস্ত রেলওয়ে স্টেশনে পুরোপুরি ভাবে মাটির ভাঁড় ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবেশদূষণ প্রতিরোধের পাশাপাশি ভাঁড় তৈরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের উপার্জন বাড়বে বলেও আশা তাঁর।’ এমনকি অনুষ্ঠানে এসে তিনি নিজেও মাটির ভাঁড়ে চা পানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

Advertisement

এর পাশাপাশি রাজস্থানের দিগাওয়াড়া রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নে ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কেউ ভাবেনি, এমনটও দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেছেন রাজস্থান সেক্টরে কোনও গুরুত্ব দেওয়াই হয়নি। দিল্লি, মুম্বই রুখতে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ হয়ে গিয়েছে ৩০ বছর আগে। আর এখন রাজস্থানে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ হয়নি। এর জন্য বিরোধী শিবিরকে দায়ী করেছেন রেলমন্ত্রী।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button