জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

বেশিদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে আজই ছাড়ুন এই কাজ গুলো-

Advertisement
Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : সব মানুষই চান সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে এবং দীর্ঘজীবন লাভ করতে। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নত ঔষধ, উন্নত স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ও ব্যক্তি সতর্কতার ফলে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ গুলোতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র দীর্ঘ জীবন নয়, দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পাওয়ার জন্য কতগুলো পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কি সেই পন্থা? জেনে নিন বিস্তারিত-

Advertisement
Advertisement

১. প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিনঃ আজকাল বেশিরভাগ মানুষই প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরই ভরসা করে থাকেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়াজাত খাবারই কিন্তু আপনার শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এই সমস্ত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং তুলনায় ফাইবার/ আঁশ অনেক কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রবল ভাবে। এগুলো ছেড়ে টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খান। এর সাথেই ধুমপানের অভ্যাস থাকলে তা আজই পরিত্যাগ করুন।

Advertisement

২. নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিনঃ নেতিবাচকতা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায়। আর এগুলো বৃদ্ধি পেলেই মানসিক ভাবে, শারীরিক ভাবে আপনি দূর্বল হয়ে পড়বেন।

Advertisement
Advertisement

৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করুনঃ একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, নিয়মিত শরীরচর্চা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের শরীরচর্চাই আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে বেশ কয়েকবছর। ২০১১ সালে The Lancet গবেষণা পত্রে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, দিনে ১৫ মিনিট শরীরচর্চা যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা দিনে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেছেন তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।

৪. রাতের ঘুমের সাথে কোনোরকম আপোষ করবেন নাঃ স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । চিকিৎসকেরা বলেন ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়। তাই ঘুমের সাথে কোনো আপোষ নয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button