সম্পর্কজীবনযাপন

স্বামী স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কতো হওয়া উচিৎ? জেনে নিন বিজ্ঞান কী বলছে

Advertisement
Advertisement

বিবাহ ভারতীয় সমাজে একটি পবিত্র বন্ধন। বলা হয়ে থাকে এটি সাতজন্মের বন্ধন। কিন্তু পরিবর্তিত সমাজে বিয়ে নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা এবং অনেক ঐতিহ্যও পাল্টে গেছে। সাধারনত আমাদের সমাজে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ একটি প্রথা হলেও এখন তরুণ প্রজন্ম প্রেম করে বিবাহের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিয়ে সম্পর্কিত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক।

Advertisement
Advertisement

বলা হয়ে থাকে ভালোবাসা অন্ধ। এখানে সব বিজ্ঞানই ব্যর্থ। এরকম অনেক উদাহরণ আমাদের সামনে আছে। প্রাক্তন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কথা বলা যাক। শচীনের স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকার তার চেয়ে চার বছরের বড়। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই বিজ্ঞান অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের মধ্যে কতটা ব্যবধান থাকা উচিত। এই বিষয়ে আসার আগে আমরা আপনাদের কাছে পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, বিজ্ঞানে বিয়ের কোন ধারণা নেই। বরং এখানে আলোচনা আছে যে, শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য একজন নারী ও পুরুষের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত।

Advertisement

husband wife age gap

Advertisement
Advertisement

বিশ্বের সব দেশেই শারীরিক সম্পর্কের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। ভারতে দেশে যৌন মিলনের ন্যূনতম বয়সও ১৮ বছর। সেই সঙ্গে আমাদের দেশে বৈধ বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়েদের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের বয়স ২১ বছর রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের মধ্যে তিন বছরের ব্যবধান এখানে আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য।

তবে অতীতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করা নিয়ে বিতর্ক ছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা প্রত্যাখ্যান করে।সামগ্রিকভাবে, ঐতিহ্যগতভাবে স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধান ভারতীয় সমাজে গ্রহণযোগ্য। সমাজও বলে যে মেয়ের বয়স ছেলের চেয়ে কম হওয়া উচিত। তবে, কখনও কখনও এই ব্যবধানটি ১০ থেকে ১৬ বছরও হয়। শাহিদ কাপুর ও মীরা কাপুরের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর।

Advertisement

Related Articles

Back to top button