যোগী রাজ্যে হাথরসকাণ্ডের মামলার শুনানির দাবি করলেন নির্যাতিতার আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। আজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে ওই মামলার শুনানিতে এই আর্জিই জানিয়েছেন। আজই সকালে নির্যাতিতার পরিবারকে আদালতের কাজের জন্য লখনউ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তার জন্য আগের থেকেই দেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার।
এদিন সংবাদ সংস্থাকে আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা জানান, “নির্যাতিতার পরিবারের দাবি সিবিআইয়ের রিপোর্ট গোপন রাখা হোক, মামলা উত্তরপ্রদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হোক এবং মামলা যত দিন না শেষ হয় ততদিন নির্যাতিতার পরিবারকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিক প্রশাসন”। কিছুদিন আগেই হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয় সেকথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল।
হাথরস কান্ড নিয়ে সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই কিছু দিন আগেই ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়।
ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। অন্য দিকে পরিবার বলছে গণধর্ষণ করে খুন হয়েছে ওই তরুণীর। গত শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পীড়িতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সিট হাথরসে পৌঁছয়৷ কিন্তু নির্যাতিতার বাবার স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক নেই৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে যাচ্ছে।