ম্যাগাজিন

আবদুল কালামের পাঁচটি বাণী, যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে!

Advertisement
Advertisement

সারা বিশ্বের মহান ব্যক্তিত্বের মধ্যে এক অন্যতম মহান হলেন আবদুল কালাম আজাদ। তিনি একটা সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার বলা বাণী আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আজকে তার জন্মদিনে আমাদের তরফ থেকে এই উপহার আপনার জন্য।

Advertisement
Advertisement

স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।
স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো।
স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।

Advertisement

আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। সবাই বলে ভোরে দেখা স্বপ্ন নাকি বাস্তব হয়। কিন্তু আদতে সেটা হয় কিনা জানা নেই। তবে উপরে কালামের এই বাণীটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে চলার পথে। তার মনে হয়েছে যে আমরা যে স্বপ্ন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, সেই স্বপ্ন আমাদের জীবনে কখনো উন্নতি করতে পারবে না। তার মতে আমরা জীবনকে নিয়ে এমন একটা কোন স্বপ্ন দেখবো যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের তাড়ণায় যাতে আমাদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। স্বপ্ন যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে আমরা যেন সেই স্বপ্নটাকে পূরণ এর পেছনে ক্রমাগত নিজেকে সঁপে দি। তবেই আমরা জীবনে উন্নতি করতে পারব।

Advertisement
Advertisement

তুমি তোমার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করতে পারো না,
কিন্তু তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারো।
এবং অভ্যাসই নিশ্চিত ভাবে,
তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করবে।

কথায় বলে ভাগ্যের লিখন নাকি কখনো বদলানো যায় না। কথাটা সত্যি আমরা জন্ম থেকেই জ্যোতিষের ছকে বাঁধা। হাতের রেখাতেই আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত লিখিত হয়েছে। কিন্তু কালাম উপরের বাণীতে বলেছেন আমরা আমাদের ভাগ্যকে বদলাতে পারি। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও তার কথায় যদি আমরা সত্যি সত্যি  জীবনে চলি, তাহলে দেখবো আমাদের পূর্ব লিখিত ভাগ্য কেও আমরা বদলাতে সক্ষম হয়েছি। তার মতে ভাগ্য বদলাতে পারে একটি জিনিস দিয়েই সেটি হলো আমরা যদি আমাদের কিছু অভ্যাস বদলাতে পারি। তাহলে তার মতে সে বদলানো অভ্যাসই আমাদের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করবে।

সফলতার গল্প পড়ো না,
কারণ তা থেকে তুমি শুধু বার্তা পাবে।
ব্যর্থতার গল্প পড় তাহলে সফল হওয়ার কিছু ধারণা পাবে।

আমাদের অনেকেরই গল্প পড়ার  শখ। তবে আমরা যে গল্পটা বেছে নি সেটা হল সফলতার। যে অংশটা  সফল, সেই অংশটাকেই আমরা বেশ রসিয়ে রসিয়ে পড়ি। আমরা চাই সবশেষে জিনিসটা ভালো হোক। কিন্তু কালাম তার উপরের বাণীতে ঠিক উল্টো একটা কথা বলেছেন। তার মতে সফলতার কথা বললে আমরা কিন্তু কোন রকম ভাবেই শিখতে পারবো না। তার মতে আমাদের সবসময় ব্যর্থতার গল্প পড়া উচিত এবং অবশ্যই ব্যর্থতা  থেকে সেই মানুষটা কিভাবে সফলতার শিখরে পৌঁছেছে, সেইটা আমাদের শেখা উচিত। সহজে সফলতা পেয়ে গেলে আমরা কেউই কষ্ট করতে পারব না বা কষ্ট করতে ভুলে যাব। সেরকম কোনো কঠিন পরিস্থিতি এলে আমরা কিন্তু তার মোকাবিলা করতে পারব না। কিন্তু আমরা যদি প্রথম থেকেই ব্যর্থতার গল্প শুনি, তাহলে কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে একটা সব পরিস্থিতি কে জয় করার উৎসাহ এবং ক্ষমতা তৈরি হবে। যা জীবনে এগিয়ে চলার জন্য খুবই দরকার।

সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে,
তোমাকেও প্রথমে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।

পরিশ্রমই মানুষকে সাফল্য এনে দেয়। তাই  কালামের একটি বানী সেটি হলো সূর্যের থেকে যে প্রবল আলো প্রজ্বলিত হয় তা কিন্তু একদিনে হয়নি তার জন্য সূর্যকে দীর্ঘদিন ধরে পুড়ে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। লোহা পুড়িয়ে পুড়িয়ে তবেই সে ব্যবহারের  উপযুক্ত হয়। অর্থাৎ জীবনে সফল হতে গেলে নিজেকে অনেক কষ্ট করতে হয়। নিজেদের যে বদ অভ্যাস গুলোকে আস্তে আস্তে কাটাতে হয়। নিজেকে নিজেকে উপলব্ধি করে নিজের ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তুলতে হয়। তবে জীবনে উন্নতি আসবেই।

আমি সুদর্শন ব্যক্তি নই,
কিন্তু আমি আমার হাত
তার জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি
যার সাহায্য দরকার।
সৌন্দর্য মানুষের হৃদয় থাকে,
মুখে বা বাইরে নয়।

কথায় আছে ‘পেহেলে দর্শনধারী পিছে গুনবিচারী’ কথাটা  আক্ষরিক অর্থে সত্যি নয় । মানুষ সুন্দর হয় তার মনে ব্যবহারে আন্তরিকতায়। বাহ্যিক রূপ হলো ক্ষণস্থায়ী যা কিন্তু খুব বেশিদিন থাকে না কিন্তু অন্তরের সৌন্দর্য যা কিন্তু আমৃত্যু থেকে যায়। মানসিকতা দিয়েই একজন মানুষকে সঠিক চেনা যায়। উন্নত মনের মানুষেরা কোন কাজেই ছোট মনের পরিচয় দেয় না। এখানে কিন্তু সে রূপবান না রূপবান নয় এটা কিন্তু কোন ভাবেই কিছু এসে যায় না, রুপ কোন জায়গাতেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না।

শেষকথা
আশা করা যায় উপরের বাণী গুলি আপনি জীবনে যদি একবার ব্যবহার করেন আপনার জীবন সুন্দর হতে পারে। জীবনের সারমর্ম কি উপলব্ধি করেই কালাম এই বাণী গুলি বলেছেন। জীবনের চরম উন্নতির শিখরে উঠে ও তিনি কোন দিন তার জীবনকে বিলাসব্যসন এর মধ্যে দিয়ে ভাসিয়ে দেন নি। তিনি চিরকাল একটা সাদামাটা, সরল, স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন। বই কে তিনি বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং মহৎ বাণীর সাথে তার জীবনকে আমাদের সামনে একটা আদর্শ রূপে উপস্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী

Advertisement

Related Articles

Back to top button