আন্তর্জাতিকনিউজপলিটিক্স

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঢাকায়, থাকবে মায়ানমার ও চিন

Advertisement
Advertisement

ঢাকা: আগামী ১৯ জানুয়ারি (January) ঢাকায় (Dhaka) রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঢাকায়। বিদেশ সচিব পর্যায়ে এই বৈঠকে বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমার (Myanmar) ছাড়াও অংশ নেবে চিন (China)। বাংলাদেশর বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল তাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়। মায়ানমার এমনিতে এই বিষয়ে  উত্তর দিতে চায় না। খালি বলে পরে জানাবে। এরপর করোনা ও দেশে নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে বৈঠক পিছিয়েছে। ৯ জানুয়ারি চিনের মধ্যস্থতায় সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মায়ানমার সেটা পিছিয়ে দেয়। সচিব পর্যায়ের সেই  বৈঠকটি আগামী ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশ, চীন ও মায়ানমারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

Advertisement
Advertisement

জানা যাচ্ছে এপর্যন্ত ৮ লক্ষ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মায়ানমারকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। কয়েক দফায় এই তালিকা পাঠান হয়েছে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহেই ২ লক্ষ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গার নাম দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৫ লাখ ৯৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছিল। নিরাপদে রোহিঙ্গাদের  মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠানোই এই তালিকা হস্তান্তরের লক্ষ্য। চুক্তি মোতাবেক, তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা মায়ানমারের। কিন্তু যাচাইয়ের ক্ষেত্রে দেশটি ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করেছে মায়ানমার। সেই কারণে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। কবে শুরু হবে তা কেউ জানে না।

Advertisement

মায়ানমারের সঙ্গে যখন আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ তার আগেই কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। যাতে পাঁচ শতাধিক ঝুপড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। যদিও এই ঘটনায় প্রাণহানির কোনও খবর নেই। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে  আপাতত লার্নিং সেন্টারগুলোয় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে তাঁদের  অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে বলে বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যে  ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু প্রক্রিয়া করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যে দু’দফায় সেখানে স্থানান্তরও করা হয়েছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button