রাজ্যToday Trending Newsনিউজ

যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা নতুন করে চাকরি পাবেন? SSC মামলায় কি জানালো কলকাতা হাইকোর্ট

স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্ক রয়েছে

Advertisement
Advertisement

এক ধাক্কায় ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার সাথেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা কিভাবে চাকরি পাবেন? সেই নিয়ে এই মুহূর্তে উঠছে প্রশ্ন। কিভাবে হবে নতুন চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ এবং কিভাবে হবে নতুন করে মূল্যায়ন? সব নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, হায়দ্রাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্ক, ওএমআর শিট থেকে পাওয়া তথ্য সিবিআই আগেই জমা দিয়েছিল আদালতে। রাজ্য সরকারের কাছে যে ওএমআর শিট ছিল, সেই তথ্য জমা করা হয়েছিল আদালতে।

Advertisement
Advertisement

কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, এই OMR মূল্যায়ন করে কি যোগ্যদের তালিকা তৈরি করা সম্ভব? এর উত্তরের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তালিকা তৈরি করা অবশ্যই সম্ভব কিন্তু অনেকটা সময় লাগবে এর জন্য। এদিনের রায় অবশ্য আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওএমআর শিট গুলি কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বৈধ। এই সমস্ত সেটে 65b কমপ্লায়েন্স রয়েছে। আর হাইকোর্টের এই রায়ের উপরে ভরসা করে, আবারো আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই তথ্যের উপরে ভরসা করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ন করে আবারো চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই নতুন তালিকার উপর ভিত্তি করে আবারো নিয়োগ হতে পারে। এই পুরো প্রক্রিয়া ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ভোটের রেজাল্টের পরে প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হবে।

Advertisement

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের এসএসসি মামলায় গ্রুপ সি গ্রুপ ডি নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫০ জন। চাকরি বাতিলের পরে প্রশ্ন উঠছে কিভাবে চাকরির প্রাপকদের মধ্যে যারা যোগ্য তারা চাকরি পাবেন? সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে এই সমস্ত ওএমআর শিট এবং তারপরে আবারো নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তারপরেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৩ লক্ষ চাকরির প্রার্থীর।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button