জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

গায়ে কি খুব দুর্গন্ধ হয়? তাহলে আজ থেকেই এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলি!

Advertisement
Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : গরমে ঘেমে যাওয়া আর ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাতে আমরা সকলেই কমবেশি ভুগি। গরমে গুমোট আবহাওয়ায় শরীরে এত বেশি ঘাম হয় যে, মাঝে মাঝে এই ঘামের দুর্গন্ধ অসহ্যকর হয়ে ওঠে। ভিড় বাসে, ট্রামে চড়ে অফিসে, কলেজে পৌঁছে ঘামের দুর্গন্ধের চোটে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। বাজারচলতি বডি স্প্রে, রোল অন জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করেও খুব বেশি ক্ষণ নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করে এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন বিস্তারিত এ বিষয়ে-

Advertisement
Advertisement

১. জীরে বা ওই জাতীয় মশলা যুক্ত খাবার কম খান। কারণ জীরে শরীরে সালফার জাতীয় গ্যাস উৎপন্ন করে যা লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধও হয় বেশি।

Advertisement

২. পেঁয়াজে আছে যথেষ্ট পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান, যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই শরীরে যদি মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয় তাহলে পেঁয়াজ কম খাওয়াই ভালো।

Advertisement
Advertisement

৩. রসুনেও আছে যথেষ্ট পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান। রসুনে থাকা সালফার উপাদান রক্তে মেশে যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এই দুর্গন্ধই লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। তাই রসুনও যত সম্ভব কম খাওয়া উচিত।

৪. অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ বা দুধজাতীয় কোনো খাবার খেলে এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলি ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন তৈরি হয়। আর এই হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই উপকারী হলেও শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে দুধ ও দুধজাতীয় খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।

৫. কৃত্রিম মিষ্টি, চকোলেট, ক্যান্ডি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে শরীরে ফ্যাটি আসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে রক্তে ইস্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। একই কথা খাটে শর্করা জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রেও।

Advertisement

Related Articles

Back to top button