Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

নাড্ডার হাত ধরে গেরুয়াতে পা দীনেশ ত্রিবেদীর, তৃণমূলকে কটাক্ষ “পরিবারতন্ত্র” ইস্যু নিয়ে

দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, "নিজেদের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে তৃণমূল সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যায়"

×
Advertisement

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও নেতাদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা লেগেই আছে। অন্তরাত্মার কথা শুনে তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যসভার সদস্য দীনেশ ত্রিবেদী। তারপর বেশ কিছুদিন রাজনৈতিকভাবে তাকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। কিন্তু আজ অর্থাৎ শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পদার্পণ করলেন তিনি। তিনি আগেই যখন ঘাসফুল শিবির থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তখনই বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল যে কবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তারপর আজকে ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি গেরুয়া সৈনিক হয়ে গেলেন।

Advertisements
Advertisement

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দীনেশ ত্রিবেদীকে গেরুয়া শিবিরের স্বাগতম জানিয়েছেন উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক এর মাধ্যমে। তাকে স্বাগত জানিয়ে নাড্ডা বলেছেন, “উনি রাজনীতির ময়দানে খুব অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণতার সাথে কাজ করতে পারেন। উনি খুব ভালো মানুষ। এতো ভালো মানুষ হই খারাপ দলে কি করে ছিল তা আমি জানিনা। তবে এবার তিনি সঠিক দলে চলে এসেছেন। মানুষের ভালোর জন্য এবার কাজ করতে পারবেন তিনি। বিজেপিতে দীনেশ ত্রিবেদীকে সুস্বাগতম জানাই।”

Advertisements

অন্যদিকে বিজেপিতে যোগদান করেই শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। পরিবারতন্ত্র ইস্যু প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, “অপেক্ষায় ছিলাম আমি এই দিনটার জন্য। বিজেপি হলো জনতার পরিবার। কিন্তু একটা দল আছে যেখানে নিজের পরিবার দিয়ে দল তৈরি হয়। সেই পরিবার নিজেদের সেবা করতে করতে জনতার সেবা করতে ভুলে যায়।” তিনি আরো জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নিজেকে গরিব পার্টি বলে। এদিকে নির্বাচনের জন্য ৪০০-৫০০ কোটি টাকা দিয়ে কনসালটেন্টকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে। এটা একটা গরীব পার্টির পরিচয়! মানুষের জন্য কিছুই হয়না ওই পার্টিতে। বাংলা চায় পরিবর্তন। তাই এবারের নির্বাচনে বিজেপির জয় যুক্ত হওয়া খুবই জরুরী।”

Advertisements
Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তখন ইস্তফা দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, “দলের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি এরকমভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। আমি আমার অন্তরত্মার কথা শুনেছি।” এরপর চলতি নির্বাচনে বিজেপি দীনেশ ত্রিবেদীকে কোন টিকিট দেয় নাকি, সেটাই দেখার।

Related Articles

Back to top button