নিউজরাজ্য

দীঘায় এবার জলের নিচে তৈরি হবে সুড়ঙ্গ, পর্যটক আনতে নতুন উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

এই সুরঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অ্যক্রালিক দিয়ে তৈরি করা হবে এবং ভিতরে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে পর্যটকদের

Advertisement
Advertisement

দীঘার সমুদ্রকে আরও আকর্ষণীয় গড়ে তুলতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দীঘার নতুন আন্ডার ওয়াটার পার্ক গড়ে তুলতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং প্রস্তাবিত সাবমেরিন মিউজিয়ামের সংলগ্ন স্থানে এই নতুন আন্ডার ওয়াটার পার্ক তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জলের তলা দিয়ে থাকবে অ্যাক্রালিকের সুরঙ্গ এবং সমুদ্রের নিচের দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন পর্যটকরা। হিডকো ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের নকশা এবং পরিকল্পনার জন্য ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে।

Advertisement
Advertisement

বর্তমানে পুরনো দীঘার কাছে একটি মেরিন একুরিয়াম এবং রিজিওনাল সেন্টার অবস্থিত রয়েছে। তবে সেখানে একুরিয়ামের মান বিশ্বমানের না হওয়ার কারণে পর্যটকদের মধ্যে তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এই নতুন আন্ডার ওয়াটার পার্ক একেবারে আলাদা হতে চলেছে। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, অনেকটা সিঙ্গাপুরের ধাঁচে এটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোটাই একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রকল্পটি নিয়ে পুরোদমে তরজোড় চলছে। সাবমেরিন মিউজিয়াম নিয়ে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারপর সেখান থেকেই এই নতুন নিমজ্জিত সুরঙ্গের ভাবনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের মতে এই সুরঙ্গের ফলে আরও বেশি করে পর্যটকদের আকর্ষণ হয়ে উঠবে দীঘা।

Advertisement

আপনাদের জানিয়ে রাখি এই সুরঙ্গ নির্মিত হবে সম্পূর্ণরূপে অ্যাক্রালিকের মাধ্যমে। ভিতরে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। আশেপাশে এবং উপর দিয়ে সামুদ্রিক প্রাণীকুলের চলাফেরা লক্ষ্য করা যাবে। তার পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশ ঠিক কেমন হয় তা আপনারা অনুভব করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সামুদ্রিক জীবকূলের প্রতি আমজনতার আগ্রহ বাড়বে এবং পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে একই সাথে। তবে পুরোটাই অত্যন্ত পেশাদারভাবে গড়ে তুলতে হবে। এই ধরনের সুরঙ্গ সাধারণত সমুদ্রের তলায় হয় না বরং সৈকতের নিকটবর্তী কোনো স্থানে সমুদ্রের জল প্রবেশ করানো হয়।

Advertisement
Advertisement

দীঘা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পলি অত্যন্ত বেশি। ফলে জল যাতে সচ্ছ হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট স্থানে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের একটি ছোট রূপ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে বিষয়টি স্থাপত্য, পরিবেশ এবং জীববিদ্যার দিক থেকে যথেষ্ট জটিল। তবে বৃহদাকার মেরিন একুরিয়াম তৈরি তুলনায় এটি কম খরচ সাপেক্ষ। HIDCO এর জন্য কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে পর্যালোচনার দায়িত্ব দিতে চাইছে। প্রাথমিক নকশা তৈরি করবে সেই সংস্থা। পাশাপাশি পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে তারা। সিঙ্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সে এই প্রকল্পের ভাবনা পাঠাতে চলেছে হিডকো।

Advertisement

Related Articles

Back to top button