দেশনিউজ

কৃষিবিল নিয়ে ক্ষোভ, রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যানের মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি ডেরেকের

Advertisement
Advertisement

কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রসঙ্গত, কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে এদিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি।

Advertisement
Advertisement

রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার। রাজ্যসভায় ২৪৫ আসনের মধ্যে এনডিএ-এর রয়েছে ১১৬ সদস্য। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কেউই এই বিলের পক্ষে ছিলো না। এদিন এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সরাসরি বলে বসে কৃষকদের মৃত্যুর পরোয়ানা এই ফার্ম বিল।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

কারন প্রথম থেকেই এই বিলের বিপক্ষে ছিলো কংগ্রেস। আর এদিন সেই উত্তেজনা চেপে রাখতে না পেরে সরাসরি আক্রমণ করেই বসে। বিরোধীদের ঝামেলার জন্য ১০ মিনিটের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। পরে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। অবশেষে জিত হল সেই কেন্দ্রের। এই প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন,”সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

এদিন করোনা বিধি ভেঙে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। এমনকি সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের সামনে গিয়ে রুল বুক ও মাইক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।

এদিন ডেরেক ও’ব্রায়েন এই ঘটনার পরে বলেন, ”২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমান হারে তা ২০২৮ সালের আগে সম্ভব নয়। আপনাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। চারটি বিষয়ের মধ্যে একটি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। কৃষি বিলে রাজ্যের অধিকার, গণবণ্টন ও ফসল কেনার মতো বিষয়গুলিরও বিরোধিতা করছি।”

 

Advertisement

Related Articles

Back to top button