নিউজপলিটিক্সরাজ্য

আমাকে জেতানোর কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী, ওরা ক্ষমা চাওয়ার কি আছে! শোভনকে পাল্টা দেবশ্রী

দেবশ্রী আরো বলেন,' আমি সিনেমা করছি কিনা করছি সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

Advertisement
Advertisement

দিন কয়েক আগে নতুন দিল্লিতে অশোক রোডে বিজিবি সদর দপ্তরে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা টলি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় (Debasree Roy)। সেখানে ঘটে যায় একটি বিপত্তি। বেঁকে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ( Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। শোভন বান্ধবী বৈশাখী দেবশ্রীর দিল্লি যাত্রা বিষয়ে আপত্তি জানান। ফলে দেবশ্রী রায় কে বিজেপি সদর দপ্তর থেকে একেবারে শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়। তারপর দেবশ্রীর বিধানসভার রায়দিঘিতে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে গেলেন এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

মানুষের কাছে গিয়ে দেবশ্রীকে জেতানোর জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে এলেন সর্বসমক্ষে। সুমন চট্টোপাধ্যায় বললেন,’ ওকে আমি এখানে দায়িত্ব জিতিয়ে ছিলাম। তাই এখন আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ উনি এলাকার মানুষকে টোটো দেবেন বলে কিছু টাকা-পয়সা তুলেছিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষ টোটো পেলোণা আর টাকাও পেল না।”

Advertisement

এই মন্তব্য প্রসঙ্গে দেবশ্রী বললেন,” ওকে তো আমায় জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তাহলে এতো ক্ষমা চাওয়ার কি আছে। আসলে এই বুদ্ধিটা শোভন কে দিয়েছে বৈশাখী।” প্রসঙ্গত প্রত্যেকদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সভা করে আসছেন শোভন এবং বৈশাখী জুটি। এবারে তারা পৌছলেন রায়দিঘি তে। সেখানে পৌঁছেই সেখানকার বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় শোভন এবং বৈশাখী জুটি।

Advertisement
Advertisement

পাল্টা দেবশ্রী আরো বলেন,’ আমি সিনেমা করছি কিনা করছি সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। উনি এব্যাপারে আপনাকে বলার কে। আর শোভন চ্যাটার্জি যদি রায়দিঘিতে গিয়ে আমার নামে কিছু বাজে কথা বলে কয়েকটা ভোট বেশি পায় তাহলে বলুন। আর বৈশাখী বলছেন আমার সিনেমার ক্যারিয়ার শেষ। আচ্ছা উনি কে আমার সিনেমা নিয়ে কথা বলার। আমি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং জাতীয় পুরস্কার দুটোই পেয়েছি। দেখা যদি সিনেমা না করেন তাহলে কেউ কি তাকে ভুলে যাবেন? তেমনি দেবশ্রী রায় কে কেউ ভুলবেন না।” অর্থাৎ বর্তমানে শোভন এবং বৈশাখী জুটি এবং তার সঙ্গে দেবশ্রী রায় কে নিয়ে বেশ উত্তপ্ত রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

Related Articles

Back to top button