Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

“করোনা পরিস্থিতিতে আর হবে না বড় জনসভা”, তৃণমূল বামেদের পর সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির

প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ছোট ছোট জনসভায় সর্বাধিক ৫০০ জন জমায়েত করবে

Advertisement
Advertisement

চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ। করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার জনের। করোনার এমন পরিসংখ্যান গতবছরেও ছিল না। গোটা দেশের পাশাপাশি সংক্রমণে জর্জরিত বাংলা। তারমধ্যে আবার বাংলায় চলছে একুশে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি আরো তিন দফা নির্বাচন। তবে নির্বাচনের জন্য রাজ্যে প্রান্তে প্রান্তে যে জনসভা চলছে তা করোনা সংক্রমনের হার আরও বৃদ্ধি করছে।

Advertisement
Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেরা ঘোষণা করেছিল যে তারা ভোটবঙ্গে আর কোনো বড় জনসভা করবেন। এরপর গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার সভা বাতিল করবে না বলে জানিয়েছিল। তার দুদিনের সভা একদিনে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। তারপর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিজেপি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড় জনসভা বা মিছিল আর করবে না গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছোট ছোট সভা করবেন। সেই সমস্ত সভাগুলিতে সর্বোচ্চ ৫০০ জন উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও তারা জানিয়েছে যে করোনা মোকাবিলার জন্য তারা ৬ কোটি মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করবে।

Advertisement

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কলকাতা শহরে ভোট প্রচার করার জন্য কোন বড় সভা করবেন না। মাত্র ২৬ এপ্রিল একটি সিম্বলিক মিটিং হবে। এছাড়া কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার সমস্ত বঙ্গ সফর বাতিল করেছেন তিনি। বামেরাও আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে করোনা পরিস্থিতিতে তারা আর জমায়েত করবে না।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button