নিউজপলিটিক্সরাজ্য

বিজেপি থেকে সুব্রত বক্সী, অনুব্রত মণ্ডলকে করা হয়েছে কল, জানালেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী

Advertisement
Advertisement

একের পর এক তৃণমূল নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে বেসুরো সুর। তারপরই করছেন দলত্যাগের ঘোষণা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে আসল কারণ বিজেপির সাথে যোগ। ইচ্ছুকদের কাছে গেরুয়া শিবির থেকে ফোনে আসছে ডাক। ফোনেই হচ্ছে দর কষাকষি। তারপরই কেউ দলের সাথে ত্যাগ করছে সম্পর্ক। কেউ ২.৫ দশক কেউবা ১ দশকের সম্পর্ক ত্যাগ করতেও পিছুপা হচ্ছেন না। সম্পর্ক শেষ করে যোগ দিচ্ছেন পদ্ম শিবিরে। কর্পোরেট সংস্থার চাকরি বদলের মতো বাংলার নেতারা করছেন দল বদল। ২১ এর ভোটের আগে দলত্যাগ এখন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আলোচনার। আলোচনা হচ্ছে গোল টেবিল থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে। এইবার কার পালা? কার কাছে গেল ফোন?

Advertisement
Advertisement

সেই ফোনের গল্প এইবার নিজে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলনেত্রী বলেন, বিজেপি থেকে ফোন এসেছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর ক্ষোভ এই দিন উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,” ওরা এতটা নীচে নেমেছে যে আপনারা শুনে লজ্জা পাবেন। সুব্রত বক্সী তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি এবং একজন সাংসদ। তাকে ফোন করে বিজেপি থেকে বলা হচ্ছে- দাদা একটি কথা ছিল। বসব আপনার সাথে। কত বড় সাহস, কোথায় নেমে গিয়েছে বিজেপি একবার ভাবুন। লজ্জা ভদ্রতা সৌজন্যতা নেই। থাকলে এমন কাজ কেউ করেনা। আমার দলের সভাপতিকে ফোন করে যদি এসব বলে, তবে ভাবুন বাকিদের কি কি বলছে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের কড়া বার্তা দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার গলায় ছিল অভিমানী সুর। মমতা বলেছেন,” এমন অনেকে আছেন যারা আমার মৃত্যু চাইছেন আর কিছুই করছেন না। যাতে আমি চলে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা যায়।” এই কথা শুনে দলের সকলেই প্রায় হতভম্ব হয়ে যান। এমন কথা শুনে কেঁদে ফেলেন সুব্রত বক্সী। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন,” এমন কথা আপনি বলবেন না। আপনি আছেন, আপনি থাকবেন। আপনি সারাজীবন আমাদের নেত্রী থাকবেন। আমাদের দেখাবেন রাস্তা।”

Advertisement
Advertisement

দলের রাজ্য সভাপতিকে এইভাবে কাঁদতে দেখে অবাক হন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও। তিনিই শান্ত করেন সুব্রত কে। বলেন,” শান্ত হন, জল খান। কাঁদবেন না।” তখন নিজেকে সামলে নিলেও পুরো বৈঠকে চুপ করে বসে ছিলেন সুব্রত বাবু।

তবে এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই দিন আরও বলেন,”সম্প্রতি কেষ্ট মানে অনুব্রত মণ্ডলকেও ফোন করা হয়েছিল। ও কাল আমায় ফোন করেছে। বলল, দিদি আমাকে একজন দিল্লি থেকে ফোন করেছিল। বলল কথা বলতে চায়। আমার সাথে বসবে। ” অনুব্রত এর উত্তরে কি বলেছেন তা ও এইদিন বলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানান,” অনুব্রত বলেছে, আমি টিএমসি, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। কেন বসতে যাব তোমার সাথে? তোমার সাথে আমার কোনও কথা থাকতে পারেনা।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button