নিউজপলিটিক্সরাজ্য

যুদ্ধের আগে মহাযজ্ঞ করলেন অনুব্রত, ২০০ আসন চেয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা

সতীপীঠে কঙ্কালী তলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও(Anubrata Mondal) করলেন যুদ্ধের তথা ভোটের আগের প্রস্তুতি

Advertisement
Advertisement

এ যেন সেই তৎকালীন যুদ্ধের আগে রাজা-রাজাদের বিশেষ প্রস্তুতি। সেই সময়ে কোনও মহাযুদ্ধের আগে জয় লাভ করার জন্য জয়সূচক মহাযোজ্ঞের আয়োজন করে দেব-দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করতেন রাজা-মহারাজারা। বুধবার তথা আজ বোলপুরের সতীপীঠে আজ দেখা গেল শাসক দলের সেনাপতি তথা অনুব্রত মণ্ডলকে। এই দিন সতীপীঠে কঙ্কালী তলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও(Anubrata Mondal) করলেন যুদ্ধের আগের প্রস্তুতি।

Advertisement
Advertisement

তবে যুদ্ধ টা কীসের? যুদ্ধের চেয়ে কম কোথায়? বাংলার বিধানসভা ভোট দরজার নিকট এসে পৌঁছেছে। শাসক শিবির এবং গেরুয়া শিবির দুই দলের মাঝে চলছে নানা রকমের রাজনৈতিক টক্কর। ঠিক যেন দাবা খেলা। এর সাথে বাংলার শীত বাতাস এসেছে বহুদিন। শীতলতার ছোঁয়া পর্যন্ত নেই বাংলায়। ভোট তথা এক কথায় যুদ্ধের উত্তাপে তা বরং অনেকটাই উত্তপ্ত। আর সেই তপ্ত আবহাওয়া ইঙ্গিত করছে যুদ্ধের। সেই যুদ্ধের পরিবেশে অনুব্রত এক মহাযোজ্ঞের আয়োজন করে দেবীর কাছে দুই শো এর থেকে বেশি আসন প্রার্থনা করলেন। বোলপুরের সতীপীঠে বুধবার অমাবস্যা উপলক্ষে বীরভূম জেলা শাসক শিবিরের তরফে আয়োজন করা হল এক মহাযজ্ঞের। অনুব্রত মণ্ডলের সাথে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা নেতৃত্ব। ভোটে শাসক শিবির তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জয় প্রার্থণা করেই তিনি করেছেন এই মহাযজ্ঞের আয়োজন।

Advertisement

১ কুইন্টাল ৫১ কেজি কাঠ, ৪৫ কেজি ঘি এবং ১১ হাজার বেলপাতা নিয়ে দুপুর ১.৩০ টাক্য যজ্ঞ শুরু হয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে। সেখানে ছিল ঢাক ঢোক ও। পুলিশি তরফেও কঙ্কালীতলায় রাখা হয়েছিল নিরাপত্তা। এই যোজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন ১০ জন পুরহিতের সাথে বেলুড় মঠের এক সন্ন্যাসীও। যজ্ঞশেষে শাসক দলের সেনাপতি অনুব্রত নিজে বলেন, মায়ের কাছে এতদিন যা যা চেয়েছি সব পেয়েছি। এইবার ২২০ টা সিট চাইলাম। সেটাও দেবেন বলে মায়ের কাছে আশা।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button