জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার সহজ ঘরোয়া কৌশল!

Advertisement
Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাই যাদের ২০ বছর বা তার বেশি বয়স তাদের প্রতি ৫ বছরে একবার করে রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। কিছু সাধারণ জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তন করে এই কোলেস্টেরল কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। দেখে নিন এমনই কিছু পদ্ধতি-

Advertisement
Advertisement

১. কোলেস্টেরলের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা নির্ধারণঃ সবার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরে কতটা কোলেস্টেরল আছে, এবং আপনি কতটা কমাতে চান। এটা অনেক উপাদানের ওপর নির্ভর করে। যেমন, পরিবারের বাবা-মায়ের হৃদরোগের ইতিহাস আছে কিনা এবং আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা ইত্যাদি। যাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা উচিত, আর যাদের ঝুঁকি কম তাদের ক্ষেত্রে ১৬০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার পর্যন্ত রাখা যেতে পারে।

Advertisement

২. প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হবেঃ যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের অবশ্যই জীবনাচরণ পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। এক্ষেত্রে ধুমপান পরিহার করা, ওজন কমানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে ওষুধও খেতে হবে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে। নিয়াসিন, ফাইব্রেটস, স্টেটিনস ইত্যাদি ওষুধ সেবনে রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

Advertisement
Advertisement

৩. হাঁটা এবং ব্যায়াম করাঃ শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় না, উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়ায়। নৈশভোজের পর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। কেউ যদি প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করেন, তাহলে উপকৃত হবেন।

৪. চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবেঃ কোলেস্টেরল কমানোর সহজ উপায় হচ্ছে যেকোনো বেশি কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার পরিহার করা। মাখন, চর্বিযুক্ত খাসির মাংস ইত্যাদির পরিবর্তে সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল, মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত। টাটকা সবজি, ফল বেশি করে খান।

৫. বেশি করে মাছ খেতে হবেঃ মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এর মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটি রক্ত থেকে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমিয়ে ফেলে। তাই মাছ বেশি করে খান।

Advertisement

Related Articles

Back to top button