জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

সবসময় হেডফোন কানে গুঁজে রেখেছেন? নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন কিন্তু!

Advertisement
Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : হেডফোন ছাড়া বাইরে বেরোনোর কথা ভাবাই যায় না। বাসে, ট্রেনে সকলসময়ই কানে হেডফোন গুঁজে চলা অনেকেরই অভ্যেস। ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে, গান শোনা দিনে অনেকটা সময়ই অনেকেরই কানে হেডফোন গোঁজা থাকে। কিন্তু এমনটা করা যাদের নিয়মিত অভ্যাস, তারা সাবধান হয়ে যান এখনই। কারণ, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক কিছু সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-

Advertisement
Advertisement

১. শোনার সমস্যাঃ হেডফোন সবসময় কানে লাগিয়ে গান শোনা মানে, একটানা আওয়াজ কানে যাওয়া। আর কোনো কোনো সময় সেটা ৯০ ডেসিবেলের বেশি আওয়াজও। এটা নিয়মিত হতে থাকলে কানের শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এমনকি চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতেও পারেন। তাই একটানা গান শুনবেন না। হাই ভলিউমেও গান শুনবেন না।

Advertisement

২. অল্প সময়ের জন্য বধিরতাঃ একটানা অনেক সময় হাই ভলিউমে গান শোনার পর হেডফোন খুললে বেশ কিছু সময় ভালো করে কানে আওয়াজ শোনা যায় না। দেখে গেছে যে, টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেল বা তার বেশি জোরে টানা গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

Advertisement
Advertisement

৩. মস্তিষ্কে প্রভাবঃ হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ কানের সাথে মাথার কিন্তু সরাসরি যোগাযোগ।

৪. কানে ব্যাথাঃ আজকালকার এয়ার টাইট হেডফোন গুলি টানা অনেক সময় ব্যবহার করলে কানে ব্যাথা হয়। তাই এদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।

৫. বাতাস প্রবেশে বাধাঃ অজকালকার হেডফোন গুলি সবই এয়ার টাইট হয়। ফলে একটানা কানে লাগিয়ে গান শুনলে কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়।

৬. কানের ইনফেকশনঃ অনেকেই হেডফোন অন্যের সাথে শেয়ার করেন। এটা কিন্তু একদমই করা উচিত না। হেডফোনের মাধ্যমে একজনের কানের ব্যাকটেরিয়া অন্যের কানে চলে আসতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button