আধার একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, স্কুল কলেজে ভর্তি, সম্পত্তি কেনা, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্যান কার্ড ইত্যাদির জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন হয়। আমরা যখন আধার কার্ড নিতে যাই, তখন বায়োমেট্রিক অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিস স্ক্যান করা হয়। কিন্তু যখন কোনও ব্যক্তির উভয় হাত বা আঙ্গুল না থাকে তখন কী হবে? তাহলে কি তাদের আর আধার কার্ড তৈরি করা যাবে না? আসুন জেনে নেওয়া যাক UIDAI-এর নিয়মে কী বলা হয়েছে।
সরকার আধার তৈরির নিয়ম পরিবর্তন করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে যাদের হাত নেই তারাও আধার পেতে পারেন। যে ব্যক্তি আধারের জন্য যোগ্য কিন্তু আঙুলের ছাপ দিতে অক্ষম তিনি কেবল আইরিস স্ক্যান ব্যবহার করে আধার করতে পারেন। একইভাবে, যে ব্যক্তি তার আইরিস স্ক্যান করতে অক্ষম, তিনি কেবল তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে আধারের জন্য নথিভুক্ত হতে পারেন। বিষয়টি কেরালার কোট্টায়াম জেলার কুমারকোমের মহিলা জোসেসিমোল পি জোসের কারণে আলোচিত হয়েছিল। আধার সেবা কেন্দ্র জোসিমোলের জন্য কার্ড তৈরি করতে পারেনি কারণ তা হাত ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তিনি আধারের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি। তবে এখন এই নিয়ম পরিবর্তনের পর বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।
আধার কার্ড তৈরির সময় নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য যেমন নেওয়া হয়, সেই সঙ্গে আঙুলের ছাপ ও আইরিস প্রিন্টও বায়োমেট্রিক মেশিনে নেওয়া হয়। দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের দুই হাত নেই বা কোনো কারণে তাদের আঙুলের ছাপ পড়ে না। সরকারের এই নতুন নিয়মের ফলে বিশেষভাবে সক্ষম এই ব্যক্তিরাও এবার নিজেদের জন্য আধার কার্ড নির্বিঘ্নে তৈরি করতে পারবেন।
এই ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী চন্দ্র শেখর বলেন, সমস্ত আধার সেবা কেন্দ্রগুলিকে একটি অ্যাডভাইজরি পাঠানো হয়েছে যাতে জোসে বা অন্যান্য যাদের আঙুলের ছাপ বা অনুরূপ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বিকল্প বায়োমেট্রিক গ্রহণ করে আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া যায়।