ভাইরাল & ভিডিও

Viral: বোতলে নিজের বাতকর্ম বিক্রি করে মোটা টাকা উপার্জন তরুণীর, সাপ্তাহিক রোজগার শুনে অবাক হবেন আপনিও

Advertisement
Advertisement

আমাদের গোটা বিশ্বে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যবসা করে রোজগার করেন। সেক্ষেত্রে চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন দ্রব্যাদি। কিন্তু কাউকে কখনো বোতলে করে নিজের বাতকর্ম বিক্রি করে উপার্জন করতে শুনেছেন? অবাক হচ্ছেন! এমন কান্ড সত্যিই ঘটিয়েছেন কানেক্টিকাটের এক তরুণী। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে অধিকাংশের।

Advertisement
Advertisement

 

Advertisement

জানা গেছে, কানেক্টিকাটের তরুণী স্টেফানি এই বস্তুটিকে নিজের ব্যবসার দ্রব্য হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। সেটা লোক আবার যথেষ্ট মূল্য দিয়ে কিনে নিয়ে যেত। এমন জিনিস কেনার কথা কোনদিনও ভেবেছেন? না ভাবাটাই স্বাভাবিক। তবে সম্প্রতি এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে এই পৃথিবীতে। শুধু যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তাই নয় এই ব্যবসা থেকে সপ্তাহে ৩৮ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, শেষপর্যন্ত তাকে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা। নিজের ব্যবসা কেন বন্ধ করলেন এই তরুণী?

Advertisement
Advertisement

 

৩১ বছরের স্টেফানি একটা সময়ে বোতলে করে বিক্রি করতে থাকেন নিজের বাতকর্ম। যার প্রতিটি বোতলের দাম ১ হাজার ডলার ছিল। এত চড়া দামেও ক্রেতারা কিনতেন এই বস্তু। তরুণীই বা ব্যবসা করার জন্য এই বস্তু কেন বেছে নিলেন? কেনই বা ক্রেতারা সেই সমস্ত জিনিস কিনতেন! তা সত্যিই বলা মুশকিল। এর চাহিদা একটা সময় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ৫০টি পর্যন্ত বোতল। কিন্তু এরপরেই সমস্যায় পড়েন ঐ তরুণী। কারণ এক সপ্তাহে এত বাতকর্ম উৎপাদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তাকে।

একদিন অতিরিক্ত বাতকর্ম উৎপাদন করতে গিয়ে বেহাল অবস্থা হয়েছিল স্টেফানির। একসাথে তিনি তিনটি প্রোটিন শেক ও এক বড় বাটি ব্ল্যাক বিন স্যুপ খেয়ে ফেলেছিলেন। এরপর থেকেই তার মনে হয়েছিল তার শরীরটা ভালো লাগছেনা। শুরু হয়েছিল নিঃশ্বাসের অসহ্য কষ্ট এবং বুকে চিনচিনে ব্যথা। তিনি যে আবার বাঁচতে পারবেন তা ভাবতেও পারেননি। সেইসময় তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। তবে সে যাত্রায় তিনি নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন। তবে স্টেফানি পরে জানতে পেরেছিলেন তার স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক কোনটাই হয়নি, যেটা হয়েছিল সেটা হলো গ্যাসের অসহ্য যন্ত্রণা।

 

আপাতত স্টেফানি এই বিদঘুটে পেশায় ফিরছেন না। এতে খুশি হয়েছেন তার বাবা-মাও। আগে তার মেয়ের পেশা নিয়ে কাউকে বলতে লজ্জা পেতেন তারা। ওটা একটা ব্যবসা করার বিষয় হল! বর্তমানে তিনি ডিজিটাল আর্ট ফর্ম বিক্রি করার দিকেই মন দিয়েছেন। রোজগার যতই হোক বর্তমানে একটা সুস্থ স্বাভাবিক কাজ করছেন বলেই দাবি তার বাবা-মায়ের। তবে বলাই বাহুল্য, এই পৃথিবীতে এমন অনেক খবরই জানা যায় যা হয়ত আমাদের অবাক করে দেয়। এটি সেরকমই একটি অদ্ভুত খবর।

Advertisement

Related Articles

Back to top button