ভাইরাল & ভিডিও

Viral: ১০ কিলোমিটার বাস চালিয়ে ৪০ জন মহিলা এবং শিশুর প্রাণ বাঁচালেন এক মহিলা, ভাইরাল ভিডিও

বাসের ড্রাইভারের হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বাসের সম্পূর্ণ কন্ট্রোল নিজের হাতে গ্রহণ করেন

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়াতে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় যা সচরাচর আমরা দেখতে পাই না। এরকম একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হলো আবার যেখানে ৪২ বছরের এক মহিলাকে দেখা গেলো একটি মিনিবাস চালাতে। এই ভিডিওতে আমরা দেখলাম, যখন বাসের চালক হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তখন, ওই মহিলা নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বাসের সম্পূর্ণ কন্ট্রোল নিজের হাতে গ্রহণ করলেন। ওই মিনিবাসে অনেক জন শিশু এবং মহিলা ছিলেন এবং বাসটি চলছিল পুনে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে।

Advertisement
Advertisement

হঠাৎ করেই, ওই বাসে যিনি চালক ছিলেন তার অসুস্থতা শুরু হয়। তৎক্ষণাৎ নিজের সাহসিক মানসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে বাসটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিজের হাতে গ্রহণ করেন ওই ৪২ বছর বয়সী মহিলা। ৭ জানুয়ারি ঘটা এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে দারুন ভাইরাল হয়েছে, এবং অনেকেই এই ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম যোগিতা সাতাভ এবং তিনি বেশ কয়েকজন মহিলা এবং তাদের সন্তানদের সাথে পুনের শিরুর এলাকার অ্যাগ্রো ট্যুরিজম সেন্টার থেকে পিকনিক করে ফিরছিলেন।

Advertisement

যখনই পুনে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাস চলতে শুরু করেছে, তখনই একেবারে নির্জন একটি এলাকায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বাসের চালক। অসহায় অবস্থায় বাসের ভিতরে থাকা সমস্ত মহিলা এবং শিশু চিৎকার করতে শুরু করে। তখনই এগিয়ে যান ওই মহিলা। বাসে স্টিয়ারিং হুইল নিজের হাতে ধরে বাসটিকে হাসপাতালে রাস্তায় চালাতে শুরু করেন তিনি। তারপরে, ওই চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement
Advertisement

ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বললেন, “আমি গাড়ি চালানো জানি। এই কারণেই আমি ওই অবস্থায় বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের প্রথম কাজ ছিল বাসের চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা, কারণ এতটা দুর বাস চালানো সহজ কাজ নয়। যেহেতু ফাঁকা রাস্তা ছিল, তাই আমি সহজে বাস চালাতে পেরেছিলাম, কারণ বাস এবং গাড়ি চালানোর মধ্যে অনেকটাই তফাৎ আছে।” প্রায় ১০  কিলোমিটার বাস চালিয়ে ওই ড্রাইভারকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। তারপর বাকিদেরও বাড়ি নিয়ে আসেন ওই মহিলা। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া মাত্রই সকলেই তাকে অভিনন্দনে ভরিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button