অফবিটআন্তর্জাতিকনিউজ

করোনাভাইরাস রুখতে অক্সফোর্ড এ কাজ করছেন কলকাতার এক কন্যা, স্যালুট এই বঙ্গতনয়াকে

×
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস কে দমন করতে গোটা বিশ্ব যখন উঠে পড়ে লেগেছে তখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কলকাতার এক কন্যা। পশ্চিমবঙ্গবাসী হয়ে আমরা গর্ববোধ করি। গোখলে মেমোরিয়াল থেকে পড়াশোনা করার পরেই তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বায়োটেকনোলজি পাশ করেন। তারপর ২০০৯ সালে তিনি চলে যান ইউ কে তে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভ্যাকসিনের মান নির্ণয় করার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজটি তার কাছে যথেষ্ট ভালো লাগার কাজ।

Advertisements
Advertisement

এই কয়েকটা সপ্তাহ ধরে প্রত্যেকেই চেষ্টা করে চলেছেন এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে। কিন্তু তারাই প্রথমবার করবেন বলে তিনি অনেকটাই আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, “একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সাধারণত দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি এ মাসের মধ্যেই যাতে বের করে ফেলা যায়।” অক্সফোর্ড থেকে জানানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিনটি বেরিয়ে গেলেই ইউ কে র প্রায় ৮০০ ভলেন্টিয়ার এর মধ্যে এটি প্রয়োগ করা হবে। তিনি জানান, ভ্যাকসিনটি যদি কাজ করে, তাহলে গোটা বিশ্বের জন্য এটি বানানো হবে।

Advertisements

প্রত্যেকটি দেশ উঠে পড়ে লেগেছে করোনা ভাইরাসকে কি করে দমন করা যায়। গোটা বিশ্ব এখন আতঙ্কিত করোনা ভাইরাসের আক্রমণে। ভারতবর্ষেও এর আক্রমণ কোন অংশে কম নয়। আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালির মতন শিক্ষিত দেশের মানুষ মাথা নিচু করেছে এই ভাইরাসের কাছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কারণ ছাড়া বাইরে না বেরোনো। বাইরে বের হলেও বাড়িতে ফিরে এসে অবশ্যই সাবান এবং স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। লকডাউন কে মেনে নিতে হবে না হলে আমাদের চোখের সামনেও পড়ে থাকবে আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স এর মতন শবদেহ আর শবদেহ। সেই দিনটা আশা করি আমরা কেউই দেখতে চাই না, তাই প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button