অরূপ মাহাত: বছরের প্রথম থেকেই বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৪০ টি দেশের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে গবেষণা করে চলেছেন। ১৩ টি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও চলছে। তবে, এই কাজে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্না আইএনসি-র সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে জোট বেঁধে অক্সফোর্ডের তৈরি দুটি প্রতিষেধক সাফল্যের খুব কাছে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন সংবাদসংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই দু’টি প্রতিষেধক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে তাদেরই সবথেকে আগে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে স্বামীনাথন জানান, ‘মডার্না আইএনসি সংস্থা যে প্রতিষেধক তৈরি করছে, তার কাজও অনেকটাই এগিয়েছে৷ জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে সেটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ অন্যদিকে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক ইতিমধ্যে যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তাতে গোটা বিশ্বের নিরিখে বাজারে আসার ক্ষেত্রে তাদের অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে৷’
ইতিমধ্যে তাদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধক এজেডডি ১২২২-এর মানব দেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে অ্যাস্ট্রাজেনোকা৷ ভ্যাকসিন তৈরির পর তা বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যে দশটি চুক্তিও সই করে ফেলেছে তারা৷ স্থানীয়ভাবে করোনার এই প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্য ব্রাজিল এই সংস্থার সঙ্গে ১২৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে৷ আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ কিনতে চলেছে ব্রাজিল৷














Amanda Seyfried Describes Socialism as ‘A Gorgeous Idea’ While Discussing New Film