নিউজরাজ্য

‘মাছ ভাতের পাশাপাশি মিষ্টিটাও দরকার বাঙালির’, মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement
Advertisement

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত করা হল লকডাউনের সময়সীমা। এই সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে আগের মতোই। স্বাভাবিক থাকবে জরুরি পরিষেবা। তবে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি নতুন পরিষেবা। লকডাউন চলাকালীন খোলা থাকবে মিষ্টি দোকানও। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাঙালিরা খাদ্যরসিক মানুষ। মাছ ভাতের পাশাপাশি মিষ্টিটাও দরকার বাঙালির।

Advertisement
Advertisement

তাই অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি খোলা থাকবে মিষ্টির দোকানও। তবে এর জন্য সময় বেঁধে দিলেন তিনি। দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে মিষ্টি দোকান। অবশ্য দোকান খোলা থাকলেও দোকানে বসে খাওয়া যাবে না মিষ্টি, শুধুমাত্র বিক্রি করা যাবে তা। দোকানে কর্মচারীর সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ১০ হাজার ব্যবসায়ীর সই সম্বলিত একটি চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে মিষ্টি দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে স‍রকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হলেও সময় নিয়ে খুশি নন সংগঠনের সদস্যরা। এরফলে দুধের নষ্ট হওয়া হয়তো আটকানো হবে কিন্তু বাস্তবে দোকানে বিক্রি কতটা হবে সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সংগঠনের সদস্যরা।

Advertisement
Advertisement

তাদের দাবি, দুপুর বেলা দোকানে মানুষ মিষ্টি কিনতে আসবে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে দোকান ৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও তা সকালের দিকে খোলা রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন বলে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button