নিউজরাজ্য

বদলির প্রতিবাদে প্রকাশ্য রাস্তায় বিষপান ৫ শিক্ষিকার, অথচ তাদের বিরুদ্ধেই দায়ের মামলা

কোন কোন ধারায় এই শিক্ষিকাদের উপরে মামলা দায়ের করল উত্তর বিধান নগর থানা?

Advertisement
Advertisement

এক জায়গায় বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অন্য জায়গায় বদলির প্রতিবাদ করা নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষিকারা বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষিকা বিষ পান করেছেন। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার এই অভিযোগের রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখন অব্দি খবর তাদের মধ্যে দুইজন শিক্ষিকা একেবারেই বিপদমুক্ত নন। তাদের দুজনকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

অন্য তিনজন বর্তমানে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও এদের বিরুদ্ধে এই উল্টে মামলা দায়ের করেছে উত্তর বিধান নগর থানার পুলিশ। যদিও এই ধারাগুলি যে কার্যকর হওয়ারই ছিল সেটা হয়তো এরা নিজেও জানতেন। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা, আত্মহত্যার চেষ্টা, পুলিশি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারী কর্মচারীকে আঘাত করা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফরেনসিক টিম। তারা সেখানে সম্পূর্ণ জায়গা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করা শুরু করে। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ” শিক্ষকদের আন্দোলনের উপর রাজ্য সরকারের বর্বরোচিত আক্রমণ, পুলিশি নির্যাতন এবং মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতন প্রাপ্ত শিক্ষিকাদের আন্দোলনের কারণে সুদূর উত্তরবঙ্গে বদলির তীব্র নিন্দা করছি। তবে বিষ খাওয়াকে আমি সমর্থন করছি না। কিন্তু এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে যারা বাধ্য করেছেন, যেই শিক্ষামন্ত্রী বাধ্য করেছেন, তার পদত্যাগ দাবি করছি।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএসকে এবং এমএসকের পাঁচজন শিক্ষিকাকে অনৈতিকভাবে বদলি করা নিয়ে বিক্ষোভ চরমে ওঠে মঙ্গলবার দুপুরে। বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ আঁচ এতটাই তীব্র হয়, যে এনাদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদে সামিল এক শিক্ষিকা অনিমা নাথ জানিয়েছেন, ‘আজকে আমরা বিষ খেয়েছি সবাই। আমরা বাঁচবো না আমরা সবাই মরে যাব। আমরা বৃত্তিমূলক শিক্ষিকা। এরাজ্যে আমাদের কিছু হওয়ার নেই।’ আরো এক শিক্ষিকা অভিযোগ তোলেন, ” সামান্যতম বেতন দেওয়া হয় আমাদের। অথচ বাড়ি থেকে অত দূরে গিয়ে কাজ করতে বলছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে আমাদের পক্ষে কিভাবে কাজ করা সম্ভব?”

Advertisement

Related Articles

Back to top button