দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির আরও একবার, শুক্রবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত। তার পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর বয়স্ক ঠাকুরদা এবং ঠাকুরমাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। কলকাতায় লন্ডন ফেরত দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত কলকাতায় ফিরে ঘুরে বেড়িয়েছে একাধিক স্থানে।
গত ১৩ তারিখ লেক রোডের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী এই যুবক কলকাতায় ফেরেন, বাড়িতে ফিরে পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে বিমানবন্দরে। ১৪ দিন বাড়ি থেকে কোথাও বেরতে নিষেধ করা হয়েছিল।
নিজের এবং বাকি মানুষের সুরক্ষার কথা না ভেবে বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন একাধিক স্থানে। ওই যুবকের বাবার ব্যবসা বাথরুম ফিটিংসের, দু’টি দোকানের মধ্যে একটি কালীঘাট এলাকার এসপি মুখার্জি রোডে।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে পঞ্চম মৃত্যু
জানা যায় এই দোকানে গত কয়েকদিনে অনেকবার দেখা গেছে তাকে। ঘুরে বেড়িয়েছেন আবাসনের সর্বত্র, গেছেন শপিং মল, রেস্তরাঁতেও। বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন। কালীঘাটের বাসিন্দাদের অভিযোগ তাকে দোকানে দেখে বারবার বারণ করা সত্বেও সে বা তার বাবা কথা কানে নেয়নি। তাদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলে যে অনেক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সে বাড়িয়ে দিয়েছে তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।গত ২-৩ দিন ধরে সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিলেও তা এড়িয়ে গেছে সে।
এই যুবক যে আবাসনে থাকেন, সেই আবাসনেই দক্ষিণ কলকাতার এক মেয়র পারিষদের ফ্ল্যাট আছে। তিনি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে জানান আবাসনের কমপক্ষে ২৫০ বাসিন্দা সহ, গাড়ির চালক, পরিচারক-পরিচারিকা মিলিয়ে বৃহওর সংখ্যার মানুষকে আশঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে সে। গতকাল কালীঘাট থানার পুলিশের নজরে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারা।পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় স্বাস্থ্য দফতরে, এবং তারা ওই যুবকের পরিবারের সাথে কথা বলে তাঁকে ভর্তি করে। ওই মেয়র জানিয়েছেন কয়েকশো মানুষের জীবন বিপন্ন করেও কোনো অনুতাপ নেই যুবকের বাবার। ফোনে তিনি বলেন তাঁর ছেলের বাইরে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন তার ছেলে যে বাইরে বেরিয়েছে সেই প্রমাণ কি কেউ দিতে পারবে, যারা প্রশ্ন করছে তারাই বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।