রাজীব ঘোষ : মঙ্গলবার লোকসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপের কথা তুলতেই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয়, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এবার কি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য তৈরী ৩৭১ ধারাও খারিজ করে দেওয়া হবে?লোকসভাকে এড়িয়ে এই ৩৭১ ধারাও তুলে দেওয়া হবে কিনা সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়।বলা হয়, কোনো রাজ্য যখন ভাঙা হয়, তখন তার বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবিধানের ৩ নং ধারায় সেটা বলা রয়েছে।অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা হবার সময় একই জিনিস হয়েছিল।জম্মু-কাশ্মীরে বর্তমানে কোনো বিধানসভা নেই।তাই সেটা এড়িয়ে কীভাবে রাজ্য ভেঙে দেওয়া হলো?লোকসভায় কংগ্রেসের নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন, ৩৭০ ধারার পাশাপাশি সংবিধানের ৩৭১ ধারা রয়েছে।সেখানে ৩৭১ ধারার এ থেকে আই পর্যন্ত রয়েছে।
ওই ধারায় নাগাল্যান্ড,অসম,অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুর, এবং সিকিমকে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে।এখন ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কেন্দ্রীয় সরকার কি ৩৭১ ধারাও খারিজ করবে?স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি বলেন, ওই সব রাজ্যকে আপনি কী বার্তা দিতে চলেছেন?এদিন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, কাশ্মীর সমস্যা অভ্যন্তরীন না দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
সরকার স্পষ্ট করুক, কাশ্মীর সমস্যা কী ধরনের? এর জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে লোকসভায় বলেন, কংগ্রেস আগে স্পষ্ট করুক কংগ্রেস ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে নাকি পক্ষে নয়।আগে এটা তারা জানাক।স্বাভাবিক ভাবেই ৩৭০ এর পর এবার ৩৭১ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।