সোমনাথ বিশ্বাস: শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক যা শিশুর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যে সকল শিশুরা মায়ের দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তারা শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। জন্মের প্রথম ছ’মাস এই দুধেই জীবন খোঁজে শিশু। তবু আজও অনেক মা-ই সন্তানকে স্তন্যপান করাতে আগ্রহী নন। তারা শিশুকে টিনড মিল্কে বড় করেন। আর এর ফলেই বাড়ছে অপুষ্টি।
অনেক মা-ই বলছেন যে, ব্রেস্টফিড করালে ফিগার নষ্ট হয়ে যায়, তার জন্যে তারা শিশুকে স্তনপান করান না। যেসব মায়েরা চাকরি করেন তাদের মতে আবার, মাতৃত্ব কালীন ছুটির মেয়াদ খুবই কম হয়। তাই চেয়েও সবসময় করানোর সুযোগ হয় না। কিন্তু একটি শিশুর প্রথম ৬ মাসের জন্যে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধের মতো পুষ্টি তারা টিনড মিল্কে পায় না। ফলে তাদের মধ্যে দেখা যায় অপুষ্টি, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রবল ভাবে কমে যায় সেই সমস্ত শিশুর।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহর এলাকায় ৭০ শতাংশ মা তাদের শিশুদের স্তনপান করান। কিন্তু ৩০ শতাংশ বিভিন্ন কারণে আজও তাদের শিশুদের স্তনপান করানো থেকে বিরত আছেন। চিকিৎসকদের মতে সচেতনতাই এক্ষেত্রে একমাত্র উপায়। সামাজিক ভাবে সচেতনতা না বাড়ালে এ বিষয়ে সমস্যা চলতেই থাকবে।