নিউজ

সরকারকে কী স্বীকার করতে হল?

Advertisement

রাজীব ঘোষ : মোদী সরকারের শীর্ষ কর্তা নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি নিয়ে কোনো কথা বলেন নি।এমনকি মন্ত্রকের কর্তাদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভের মতে, জিএসটি, দেউলিয়া বিধি,আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইনের মতো

একগুচ্ছ সংস্কারের কারণে দেশের অর্থনীতির গতি কমে গিয়েছে।মোদী সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই প্রথম দেশের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থার কথা কবুল করলেন।অমিতাভ বলেন, নোটবাতিল,ত্রুটিপূর্ণ জিএসটির মতো ভুল পদক্ষেপের ফলে দেশের অর্থনীতিকে ভুগতে হচ্ছে।দীর্ঘদিন শিল্পমহল অর্থনীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নি।তবে এবার এইচডিএফসির চেয়ারম্যান দীপক পারেখ বলেন, অর্থনীতির হাল দেখে ব‍্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

ফলে ব‍্যাঙ্ক ছাড়া অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদের অভাব ঘটছে।এল অ্যান্ড টির নন-এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান এ এম নায়েক বলেন, সরকার যাই বলুক, এই বছর বৃদ্ধি 6.5 শতাংশের বেশি হবে না।কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শিল্পমহলের এই মন্তব্য এবং অর্থনীতিতে মন্দ গতির প্রমাণ তুলে ধরে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন।তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির কাজ বহুদিনের পরিশ্রমের তৈরী জিনিস ভাঙা।রেলে তিন লক্ষ কর্মী কমানোর পরিকল্পনা, গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়া, বি এস এন এল–এম টি এন এলের প্রায় দুই লক্ষ কর্মীর জুলাইয়ে বেতন না হওয়ার মতো একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেছেন।

তবে অমিতাভ কান্ত এই বিষয়ে বলেছেন, বিলগ্নিকরনের পথে হাঁটতে হবে বেশি করে।নগদের জোগান বাড়াতে হবে।বেসরকারি লগ্নি চাঙ্গা করতে হবে।এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, যখন সংস্কারের প্রয়োজন বুঝেছেন,, তখন নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরেও বাজেটে তার চিহ্ন দেখা গেল না কেন?যদিও অর্থমন্ত্রী এবিষয়ে কিছু বলেন নি।

Related Articles

Back to top button