ইদানিং সাউথ ব্লকে ভেসে বেড়ানো একটি রসিকতা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী সরকারের জন্য। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তেমন কোন নজর কারা কাজ করতে দেখা যায়নি ইমরান খানকে। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক সেরে ইসলামাবাদে আসলে তাকে বেশ চনমনে ও সদ্য বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়ক এর মত দেখাচ্ছে, যা মোদি সরকার এর জন্য যথেষ্টই দুশ্চিন্তার কারণ।
কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথমার্ধে মোদী সরকারের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে পাকিস্তান আমেরিকা সখ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা একটি বক্তব্য এই উদ্বেগ বাড়ার আরও একটি কারণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারত”। সমস্যা মেটানোর জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন এমনটাই ইমরানকে আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে তিনি উৎসুক, এমনটাই প্রকাশ্যে গত ১০ দিনের মধ্যে ২ বার বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাশ্মীর নিয়ে এমন অভূতপূর্ব চাপ পশ্চিম বিশ্ব থেকে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে ইমরানের হাত শক্ত করে ধরে তবেই কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কথা তুলেছে হোয়াইট হাউস। দক্ষিণপন্থী একাংশ মনে করছেন কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে সমস্যার বাতাবরণ তৈরি করতে চলেছে পাকিস্তান। আর যাই হোক না কেন এরকম চাপের মুখে পড়ে ভারত আর বেশিদিন কাশ্মীর নিয়ে চুপ করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে পারবে না। আজ না হয় কাল কাশ্মীর আলোচনা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বসতেই হবে ভারতকে।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর এমনই একটি পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছে আমেরিকা। ভারত পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এক বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোতে পাশে নেওয়ার চেষ্টা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক কূটনৈতিক কর্তার মতে,”ভারত এবং পাকিস্তান যদি দ্বিপাক্ষিকভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পথে কিছুদূর যদি এগোতে না পারে, উল্টে যদি হিংসা ও উত্তেজনা বাড়ে, তাহলে তৃতীয় পক্ষের হাত বাড়ানোর মত ক্ষেত্রটি জোরালো হবে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথা এ বিষয়ে খুবই অর্থবহ হবে”।