দেবপ্রিয়া সরকার : জন্মাষ্টমী বহু পুরনো প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব। বিশেষ করে বৈষ্ণবদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিটি হিন্দু ঘরে এই উৎসব পালন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। ভাগবত পুরাণ মতে শ্রীকৃষ্ণের লীলার নিত্য নাট্য অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো, মধ্যরাত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময়ে ধর্মীয় গান গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি নিয়মে এই উৎসব পালন করা হয়। দহি হান্ডি প্রথা অনুযায়ী অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে ধাপে ধাপে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এই প্রথা তামিলনাড়ুতে উড়িয়াদি নামে পরিচিত।
হিন্দু ঘরোয়া নিয়ম অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি যেহেতু মধ্যরাত্রে তাই এই উৎসবে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথি অনুযায়ী মধ্যরাত্রে শ্রীকৃষ্ণের ছোট্ট মূর্তিকে হলুদ দিয়ে স্নান করিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে সুসজ্জিত দোলনায় বসানো হয়। এরপর শ্রীকৃষ্ণকে তার পছন্দের ভোগ প্রদান করা হয় এবং শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করা হয়। গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির বিভিন্ন দরজায় শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন একে দেন।
শ্রী কৃষ্ণের আরতি ও পুজোর পর উপাসকগন শ্রী কৃষ্ণের ভোগ বিতরণ এর মাধ্যমে উপবাস ভঙ্গ করেন। এই নিয়ম অনুযায়ী জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।