ইভেন্ট

থাকার জায়গা নেই, খাবার সময় নেই, কর্তব্য সবার আগে, শোধ করতে পারবেন এনাদের ঋণ?

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর জন্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে লকডাউন চলছে। এই লকডাউন না মেনে বাইরে বেরোলেই পিঠে পড়ছে ডান্ডার বাড়ি। মারধোর করাটা হয়তো অপরাধ কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এই মানুষগুলো সারাদিন পরিশ্রম করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। ঠিক সময় খেতে পারছেন না, ঠিক ঠাক থাকার জায়গা নেই, রাত্রিবেলা মশার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করছে সারা শরীর। তাও এরা কর্তব্যে অবিচল থাকছে। এদের শুধু অনুরোধ আপনারা বাড়িতে থাকুন, অকারণে বাইরে বেরোবেন না। হয়তো রাগের মাথায় কেউ কেউ মেরে দিচ্ছে। তাদের মারটা দেখলেন! আর কেন মারছে সেটা একবারও ভেবে দেখেছেন? কাঠফাটা রোদ মাথায় নিয়ে এরা সমানে কাজ করে চলেছে। আর আপনাকে বাড়িতে ঠান্ডা ঘরে শুধু থাকতে বলছে।

Advertisement
Advertisement

আপনার যখন বাড়িতে থাকতে এতটাই আপত্তি ভাবুনতো সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা যারা দূর-দূরান্ত থেকে হেঁটে হেঁটে ফিরছেন বাড়িতে। আপনি বাড়িতে থাকলে আপনার সাথে সাথে আপনার পরিবার ও রক্ষা পাবে। এই কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্বকে মেনে নিন। যাতে পুলিশকর্মীদের ও কাজে একটু সুরাহা হয়। কেন তাদেরকে মারধর করে ভয় দেখিয়ে আপনাকে ঘরের মধ্যে ঢোকাতে হবে? কেন নিজে থেকেই আপনার মনের মধ্যে সেই বোধহয় জাগবে না?

Advertisement

এখনো সময় আছে ভারতবর্ষে এখনো করোনা ভাইরাস তেমনভাবে থাবা বসাতে পারেনি। যদি আপনার দেশ কেও আপনি ইতালি, আমেরিকার মতন করুন অবস্থায় দেখতে চান তাহলে বাইরে বেরিয়ে একটু আড্ডা মারুন, জটলা করুন। তাহলে আপনার দেশ শ্মশান ভূমিতে পরিণত হবে। আর যদি তা না চান, আশা করি সুস্থ দেশের সুস্থ নাগরিক হয়ে আমরা সেটা কেউই চাইনা তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন পুলিশ প্রশাসনের কাজে সহায়তা করুন। আর সবশেষে একটাই কথা বলা পুলিশ প্রশাসনকে গালি গালাজ করবার আগে একবার এই দিনগুলোর কথা ভাববেন। সত্যিই তাদের এই ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button