অরূপ মাহাত: হিন্দু ধর্মের পবিত্র উৎসব হিসেবে জন্মাষ্টমী পালিত হয়ে আসছে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে। তবে এই উৎসব শুধু জন্মাষ্টমী নয় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালিত হয়। কোথাও জন্মাষ্টমী তো কোথাও গোকুলাষ্টমী, আবার কোথাও অষ্টমী রোহিনী তো কোথাও শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী এমনই বহু নামে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন।
কবে পালিত হয় জন্মাষ্টমী?
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, প্রতি বছর ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়ে থাকে। এ বছর যা পড়েছে ৫ ভাদ্র ১৪২৬, ইংরেজী সাল অনুযায়ী ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার।
কেন পালন করা হয় এই দিনটি?
হিন্দু ধর্মাবলম্বী বৈষ্ণবদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেবকি ও বাসুদেবের কোল আলো করে পৃথিবীতে পদার্পণ করেন। সেই সময় চারিদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। যার মূল কান্ডারী ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণ সারা পৃথিবীবাসীকে কংসের অত্যাচার থেকে বাঁচান। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাঁর এই দিনটিকে জন্মাষ্টমী রূপে পালন করে আসছে।
কিভাবে পালন করা হয় দিনটি?
এই উৎসব বিভিন্ন ভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। তবে ভাগবত পুরান অনুসারে নৃত্য ও নাটক (যাকে রাসলীলা বা কৃষ্ণলীলা বলা হয়), মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে গীত গাওয়া, উপবাস, দহিহান্ডি বিভিন্ন ভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
রাসলীলাতে মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার ঘটনা দেখানো হয়।
দহিহান্ডিতে অনেক উঁচুতে মাখনের হাঁড়ি রাখা হয় এবং মানুষের পিরামিড বানিয়ে তা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। যা তামিলনাড়ুতে উড়িয়াদি নামে পরিচিত।
এছাড়া, মহিলারা মধ্যরাতে ছোট ছোট মূর্তিকে স্নান করিয়ে দোলনাতে সাজিয়ে রাখে। তারপর মিষ্টান্ন পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের উপবাস ভঙ্গ করে। গৃহস্থ বাড়ির মহিলারা বাড়ির বাইরে শ্রীকৃষ্ণের যাত্রার চিহ্ন হিসেবে পদচিহ্ন এঁকে রাখেন।