চলতি বছরে আর হয়তো বর্ষার দাপট দেখতে পাবেন না দক্ষিণবঙ্গবাসী। মাঝখানে কিছুদিন বৃষ্টি হলেও নতুন মাসের শুরু থেকেই বঙ্গবাসী নাজেহাল হচ্ছে ভ্যাপসা গরমে। বৃষ্টির ঘাটতির শতাংশ যেন দিনে দিনে আরও চড়ছে। ভাদ্র মাসের অস্বস্তিকর গরম নিয়ে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী। উত্তরবঙ্গে যদিওবা মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং তাপমাত্রা কিছুটাও কমছে, দক্ষিণবঙ্গে জুটছে শুধু হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। ফলে চূড়ান্ত আদ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।
আজ সকাল থেকেই শহর এবং শহরতলীতে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দেখা যাচ্ছে। তবে আবহাওয়া অফিসের অনুমান বেলা গড়ালে আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা যাবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ দু এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রী বেশি। এছাড়া গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি ছিল। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে এবং পার্বত্য অঞ্চলে ধ্বস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।