বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম, ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সারাদিন মেঘলা আকাশের উপস্থিতি দেখা যায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন সন্ধে নামতেই ফের জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টির দাপট শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর থেকে বৃষ্টির খবর আসে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ঝড় নামে, ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৪ কিলোমিটার। বৃষ্টির পর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাপমাত্রা নেমে যায় ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়।শিলাবৃষ্টিও হয় অনেক স্থানে, আর এই শিলা বৃষ্টির জেরে ধান, গম, আলু, সর্ষে, চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখ দেখতে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : আবার অগ্নিমূল্য সোনা, এক ধাক্কায় দাম বাড়লো ১৫০০ টাকার বেশি
তবে এই ঝড়কে সরকারি ভাবে কালবৈশাখী বলা না হলেও আবহবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বঙ্গোপসাগরের উচ্চচাপ বলয় ও মধ্যপ্রদেশের ঘূর্ণাবর্তের জেরে যে মেঘের সঞ্চার হয়েছে ঝাড়খণ্ডে তা পরবর্তীতে সরে আসে কলকাতার দিকে, আর সেই কারনেই শুরু হয় ঝর বৃষ্টি।