নিউজরাজ্য

অভিষেক-পিকের ওপর তৈরি ক্ষোভকে ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত শাসক শিবির, তাদের ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন 

Advertisement
Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসে অভিষেকের উত্থান অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। একই সাথে অভিষেক এবং প্রশান্ত কিশোর মিলে যে পরিবর্তন এবং নেতাদের কাজে যেভাবে হস্তক্ষেপ করছেন তাতে সুবিধা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। দলের একাংশের এমনটাই মত বলে জানা গিয়েছে সূত্র হতে।

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি এই জুটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে এই ক্ষোভের জন্যই দল বদল করেছেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এই একই শুরে তাল মেলাতে দেখা গেল কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে। সকলের একটাই সমস্যা। তারা কেউই চান না অভিষেকের নেতৃত্বে কাজ করতে। তারা চান না প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিতে।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের একজন শীর্ষ স্তরের নেতা বলেন,”শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলার নেতাদের এবং রাজ্যের নেতাদের বলেছেন, দলের বিরুদ্ধে যেই আওয়াজ তুলবেন তাকেই সরিয়ে দেওয়া হবে পদ থেকে। এমনকি বিজেপিকে ভয় পেলেও একই পরিস্থিতি হবে। অন্য দিকে নতুন প্রজন্মকে দেওয়া হবে দায়িত্ব।” এই বিষয়টি দলের বহু নেতাকে চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে আগামীকাল মেদিনীপুরে সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তার ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে। ঠিক তার পরের দিন সভা করতে চলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং, ২১ এর ভোটের আগে অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি তা বলা চলে।

এর আগে যারা দল ছেড়েছেন, সকলে গিয়েছেন বিজেপিতে। আগামী ৮ তারিখ বাংলায় আসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। সেইদিন ডায়মন্ড হারবারে সভা করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ তারিখ তিনি সভা করবেন কলকাতায়। সেখান থেকে কোন বার্তা তিনি দেবেন তা নিয়েই ভাবছে সমস্ত পদ্ম শিবির। এই বিষয়ে এইদিন বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,” তৃণমূলের অবস্থা অনেকটা কংগ্রেসের মতো। কংগ্রেস চায় রাহুল গান্ধিকে শীর্ষে বসাতে। অন্যদিকে তৃণমূল চায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয় মুখ করতে।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button