অফবিট

সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত মেয়ে, বাবা কাঁধে করে মেয়েকে এক কিলোমিটার হেঁটে পড়াতে নিয়ে যান

Advertisement
Advertisement

সত্যি বাবা-মায়ের ঋণ বোধহয় কখনোই শোধ করা যায় না। আর প্রবাদেই আছে, কুসন্তান যদিও বা হয় কুমাতা কখনো নয়। সাত বছরের বাচ্চা মেয়ে নিয়া, সে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। প্রতিটা সকাল তার একই রকম ভাবে যায়, ব্রাশ করে, এক গ্লাস দুধ খেয়ে শার্টের বোতাম আটকাতে আটকাতে আর পাঁচটা বাচ্চার মতনই তার দিন শুরু হয়। কিন্তু তার যে হাঁটতে অসুবিধা হয়। শুধু হাঁটতে না কথা বলতেও তার অসুবিধা হয়। কিন্তু তা বলে সে পড়াশোনা করবে না এমনটা হয়! তার বাবা তাকে কাঁধে করে এক কিলোমিটার প্রতিদিন নিয়ে গিয়ে পড়াতে যায়। ঘটনাটি কেরালার একটি গ্রামের। পেশায় ট্রাক ড্রাইভার বাবা তিনবেলা খাবার জোটাতে হয়। তারপরে কোনো যানবাহনে করে তাকে রোজ স্কুলে দিয়ে আসার খরচ তার কাছে নেই। তাছাড়া পাথুরে রাস্তায় চলতে অসুবিধা হবে, সেইজন্য তিনি কাধে করেই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

Advertisement
Advertisement

এই দম্পতি যখন তার মেয়ের জন্য স্কুল খোঁজ করছিলেন তখন দেখলেন কাছেপিঠে স্কুলটি দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার তবে তার বাবা কিন্তু এটি নিয়ে খুব একটা ভয় পাননি, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল মেয়েকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই বাবাওমেয়ে ঘর থেকে বের হন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। খুব সাবধানে তার বাবা তাকে কাঁধের উপর চড়িয়ে নেন, তারপরই তাকে স্কুলে পৌছে দিয়ে আসেন। আবার সাড়ে চারটের সময় স্কুল থেকে গিয়ে তিনি নিয়ে আসেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : শীতকালে আপনার বাচ্চাকে কি করে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করবেন, জেনে নিন

Advertisement
Advertisement

গ্রামটি ঘন বনের মধ্যে হওয়ার জন্য সন্ধ্যে হলেই জন্তু-জানোয়ারের উপদ্রব এর একটা সম্ভাবনা থেকেই যায় তাই তিনি চেষ্টা করেন মেয়েকে তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে নিয়ে আসতে। নিয়ার এমন অবস্থা দেখে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিসা জনি পরিবার থেকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে একটি অনলাইন ফান্ড চালু করেছেন। বাবার এমন ভালোবাসা দেখলে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যায়, মা বাবার মতো ভালো সত্যি বোধহয় পৃথিবীতে কেউ বাসতে পারে না। বাবা মেয়ের সম্পর্ক যে কতটা ভালো হতে পারে তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ এই গল্পটি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button