আজকের সময়ে মুকেশ আম্বানিকে সবাই খুব ভালো করেই চেনেন। আজ তার কারো পরিচয়ের প্রয়োজন নেই, তার নিজস্ব একটা আলাদা পরিচয় আছে, যা নিয়ে প্রায়ই সব জায়গায় ব্যাপক আলোচনাও হয়। ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি অন্যতম। সম্প্রতি গৌতম আদনি তাকে অতিক্রম করলেও এখনো বলতে গেলে মুকেশ আম্বানি ভারতের মানুষের কাছে একটা আলাদা সম্মান পেয়ে থাকেন। তা তার মোবাইল নেটওয়ার্ক Jio এর জন্য হোক বা Reliance কিংবা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য, মুকেশ আম্বানি মানেই একটা বড় পরিচয়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে চর্চায় থাকেন সবসময়। তার গাড়ির শখ, স্ত্রীর শাড়ি ও গহনার শখ, কারো অজানা নয়।
মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি স্বপ্ননগরী মুম্বাইতে বেশ জনপ্রিয় তাঁর বাসস্থান অ্যান্টিলিয়া। এই বিলাসবহুল বহুতল বাংলোতে কি না নেই। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উৎকৃষ্ট মানের আর্কিটেক্ট নিদর্শন এই বিল্ডিং। এই বিলাসবহুল বাংলোতে প্রায় ৬০০ জন কর্মচারী কাজ করেন এবং এই সমস্ত কর্মচারীদের বেতন একটি বড় কোম্পানির সিইও-এর মতোই। উদাহরণস্বরূপ এই অ্যান্টিলিয়ার ঝাড়ুদার মাসে ২ লাখ টাকা বেতন পান। তাঁর অ্যানুয়াল প্যাকেজ হল ২৪ লাখ টাকা। এরপর আপনি নিশ্চয় ভাবছেন এই অ্যান্টিলিয়াতে কি করে চাকরি পাওয়া যায়? জানতে চাইলে এই প্রতিবেদনের শেষ অংশটি অবশ্যই পড়ুন।
প্রবীণ শিল্পপতি আম্বানি তাঁর কর্মচারীদের অনেক খেয়াল রাখেন। মোটা অংকের মাইনের পাশাপশি তাঁর কর্মীদের দৈনন্দিন খাবার ও পানীয় এর ব্যবস্থা করা হয় অ্যান্টিলিয়াতে। তবে এই অ্যান্টিলিয়াতে চাকরি পাওয়া সহজ নয়। মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল বাংলোতে চাকরি পেতে হলে সবার আগে আপনার হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, এটি ছাড়াও আপনাকে এমন অনেক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যা বেশ কঠিন এবং শেষে একটি লিখিত পরীক্ষাও রয়েছে, যার পরেই সেই ব্যক্তিকে মুকেশ আম্বানির বাংলোতে কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এই পরীক্ষা কঠিন হলেও একবার পাশ করে গেলে আপনার জীবন বদলে যেতে পারে।