নিউজপলিটিক্সরাজ্য

অমিতের ফিরে যাবার পরেই বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে সাহায্য নিয়ে জেলা তৃণমূল নেত্রী, জল্পনা তুঙ্গে

Advertisement
Advertisement

দুদিনের ঝটিকা সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রথমে বাঁকুড়া এগিয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি। কিন্তু এবারে অমিত শাহ চলে যাওয়ার পরেই সেই বিভীষণ হাসদার বাড়িতে উপস্থিত হলেন তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সোনাই মুখোপাধ্যায়। ঐদিন তৃণমূলনেত্রী পরিবারের হাতে চাল, কাপড় এবং কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। তাহলে কি অন্য কোন সমীকরণ তৈরি করতে গিয়েছিলেন তিনি ওই বাড়িতে? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Advertisement
Advertisement

এই প্রসঙ্গে সোনাই দেবীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” লকডাউন শুরু হবার প্রথম থেকেই তিনি গরীব এবং দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করছেন। সেই একই কারণে বিভীষণ বাবুর বাড়িতে গিয়ে তিনি সাহায্য তুলে দিয়ে এসেছেন। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগসাজশ নেই। ” নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে এসে সাহায্য তুলে দিয়ে গেছেন বলেই জানিয়েছেন বিভীষণ বাবু।

Advertisement

কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর এহেন কাজের পরে পুনরায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন,” কেন্দ্র থেকে পাঠানো চাল নিজেদের নামে বিলি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। অমিত শাহের আসার আগে কি ওই পরিবারটির কথা মনে পড়েনি তাদের?”। তিনি আরো বলেছেন, ” বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সফরে এসে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ। যদি তার আসাতেই কোন পরিবার এত সাহায্য পায় তাহলে পরের বার অমিত শাহ এলে আরো বেশি বাড়িতে যেতে বলব।”

Advertisement
Advertisement

তবে, পিছিয়ে নেই তৃণমূল জেলা কমিটি। সৌমিত্র খাঁ এর এরূপ মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে তৃণমূল দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। অহেতুক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আদিবাসীদের প্রকৃত উন্নয়ন না করে তারা চমক দেওয়ার চেষ্টা করে। এই চমকে রাজ্য চলে না। অন্যদিকে, বিভীষণ হাঁসদা বলেছেন, ” ওরা তো আমাকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে চাল দিয়ে গেছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও একবার বাংলায় সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় তিনি উত্তরবঙ্গে গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে যান। কিন্তু তারপরে বিজেপি নেতৃত্বের কোন সদস্যকে সেখানে আর দেখা যায়নি। পরবর্তীতে গীতার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন গীতা। এরপর তাকে গত বৃহস্পতিবার স্পেশাল হোম গার্ড এর চাকরির জন্য নিয়োগ করা হয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button