ভারতেও দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ৭০০ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।এই সংখ্যা আরও বেড়ে ভয়াবহ আকার নেবে আগামী কয়েকমাসে। জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি এবং সেন্টার ফর ডিজিসেস, ডাইনামিক্স অ্যান্ড পলিসি (সিডিডিইপি)- তৈরি করা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে যে জুলাই মাসের মধ্যে ভারতে ৩০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হবে করোনা ভাইরাসে। আগামী দু’ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাবে দশ কোটিতে। এই রিপোর্ট তৈরী হয়েছে এই মারন ভাইরাস ছড়িয়ে কেমন গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, কোন বয়সের কোন লিঙ্গের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তার মধ্যে কতজন সুস্থ হচ্ছে এবং কতজন আক্রান্তের অবস্থা মারাত্মক, মৃত্যু হচ্ছে কতজনের এইসব দিক নিয়ে পর্যবেক্ষনে ফলে এই রিপোর্টটি করা হয়েছে।
করোনার তীব্রতা যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারনে বর্তমানে গোটা দেশে লকডাউন, এখনো পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণের খোঁজ মেলেনি বলেন বৃহস্পতিবার যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল দাবি করেছেন৷। তবে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশজুড়ে লকডাউনের মাধ্যমে সম্ভব নয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা। এই রিপোর্টের দাবি গোষ্ঠী সংক্রমণ মার্চের শুরুর দিকেই ভারতে ঢুকে পড়েছে।
লকডাউনের প্রভাবে অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হবে, হবে খাদ্য সংকট, সংক্রমণ চূড়ান্ত আকার যখন নেবে তখন মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে ৷ এই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী দু মাসে আরও বাড়বে গোষ্ঠী সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা এমন হু হু করে বৃদ্ধি পাবে যে দশ লক্ষ ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য৷ যা বর্তমানে মাত্র তিরিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার আছে। এই রিপোর্টের আশঙ্কা অনুযায়ী মৃত্যুর হার বাড়বে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিকটি।