নিউজপলিটিক্সরাজ্য

শুভেন্দুর মিছিলে দলের প্রতীক, শান্তির নিঃশ্বাস জোড়াফুল শিবিরে

Advertisement
Advertisement

সৌগত রায়ের সাথে বৈঠকের পরের দিনই খেজুরিতে অরাজনৈতিক বৈঠক করতে দেখা গেল পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে মিছিলে কোথাও ছিলনা দলের কোনও প্রতীকই। তবে অন্যদিকে এই দিনই খেজুরির রাস্তায় দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুর জোরা ফুল প্রতীকের ফ্লেক্স ব্যানার। প্রায় তিন মাস পর তাকে দলের প্রতীকের সাথে দেখে অনেকটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শাসক দলের নেতা নেত্রীরা।

Advertisement
Advertisement

এইদিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবস পালন করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাজানো ছিল দলের পতাকা ও ব্যানার। বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছে শুভেন্দুর একাধিক কাট আউট। সেখানেও দেখা মিলেছে জোড়া ফুল প্রতীকের। তবে শুধু মিছিল শুরুর স্থান নয়, মিছিলের অন্তিম স্থানেও ছিল দলের পতাকা ও ব্যানার। মিছিলের যাত্রা পথে দেখা গিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাট আউট ও। ফলে এই মিছিলের পোস্তার ব্যানারকে অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই মিছিল থেকে তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে কোনও ধারণাই পাওয়া যায়নি। তবে এইদিন মিছিলের পরিবেশ পরিস্থিতি এবং শুভেন্দুর বক্তব্য শুনে অনেকটা আশার আলো জ্বলে উঠেছে জোড়াফুল শিবিরে। যেমন তিনি এইদিন ভারতমাতা জিন্দাবাদ থেকে ফিরেছেন বন্দেমাতরমে। তেমনই তাকে দেখা গেছে ঐক্যের বার্তা প্রদান করতে। তাতেই অনেকটা মেঘ কেটেছে শাসক শিবিরের আকাশ থেকে।

Advertisement

এইদিন পরিবহণমন্ত্রী বলেছেন,”আমরা মানুষের ভালোর জন্য কাজ করি। এই শান্তি, বাক-স্বাধীনতা চিরস্থায়ী হোক। আমি সর্বদা আপনাদের পাশে এই ভাবেই থাকতে চাই, যেভাবে আমি ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত রয়েছি। কিন্তু তার তিনভাগে খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে আসার কথা উল্লেখ করা নিয়ে আবারও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার সৌগত রায়ের সাথে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠক হয়েছে উত্তর কলকাতার কাছাকাছি কোনও এক স্থানে। সেখানেও মানভঞ্জন হয়নি তার। এখনও অনেকটাই জটিলতা রয়েছে তাকে ঘিরে। তবে এতে অনেকটা আশার আলো দেখেছে শাসক শিবির। এই মিছিল কে অরাজনৈতিক বলা যাবেন বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা ও।

Advertisement

Related Articles

Back to top button