নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“ভোট চাই, ভোট চাই, বললে হবেনা”, শাসক শিবিরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

Advertisement
Advertisement

অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক কটাক্ষ করতে দেখা গেল জননেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কোনও দলের নাম না করেই এইদিন শুভেন্দু বলেন, যারা শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মবার্ষিকী সম্পর্কে জানে না, তাম্প্রলিপ্ত সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসের বিষয়ে জানেনা। তাদের নিজেদের পরিসর বাড়াতে হবে। শুধু ‘ভোট চাই’ ভোট চাই বললে হবেনা।

Advertisement
Advertisement

তাম্রলিপ্ত সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসে বৃহস্পতিবার তমলুকে নিমতৈড়িতে অরাজনৈতিক সভা করেন শুভেন্দু। প্রতি বছরই এই সভা করেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এইবার সেই অনুষ্ঠানের দিকে বাড়তি নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। বিশেষ করে বুধবার বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন শুভেন্দু। সেই কারণেই আজ তার সভার ওপর ছিল অতিরিক্ত নজর। ইস্তফার পর শুভেন্দু কি বলবেন তা জানতে আগ্রহী ছিল সকলে।

Advertisement

তবে সেইভাবে কোনও বিস্ফোরক মন্তব্যই শোনা যায়নি শুভেন্দুর মুখে। বরং বিল্পবীদের মূর্তিতে মাল্যদান করেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। তারপর তিনি উত্তোলন করেন জাতীয় পতাকা। সংক্ষিপ্ত ভাষণের শুরুটাও তিনি রাজনৈতিক ভাবে করেননি। তবে শেষের দিকে কিছুটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। এইদিন শুভেন্দু বলেন, শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মবার্ষিকী জানেন না, তাম্রলিপ্ত সরকারের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কিছু জানেন না, ‘শুধুমাত্র ভোট চাই তাদের, ভোট চাই, ভোট চাই, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও, পরিসর বেড়াতে হবে।’ সাথে যোগ করেন, বহুদলীয় রাজনীতি থাকবে গণতন্ত্রে। কিন্তু তাই বলে ক্ষুদ্র পরিসরে আটকে থাকলে হবেনা। কারণ শহিদ ক্ষুদিরাম সুশীল ধাড়াদের মতো বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের কারণে আজ তারা এখানে আছেন বলে জানান শুভেন্দু।

Advertisement
Advertisement

কার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু সেই কটাক্ষ করেছেন তা থেকে আবার শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখন স্বভাবতই শুভেন্দুর নিশানায় এইদিন ছিলেন শাসক দলের নেতারা। কেবল কটাক্ষই না, এই দিন শুভেন্দু আরও বুঝিয়েছেন, তিনি ভোট পাখি নন, বরং যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ‘এখানে আছেন’ তারা, তাদের সম্মান জানাতে জানেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button