নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘তৃণমূল কারচুপি করেছে, বিজেপি ১০০ এর বেশি আসন পাবে’, আদালতে যাবার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৭৭ আসনেই খেলা থেমে গেল গেরুয়া শিবিরের

Advertisement
Advertisement

গত রবিবার একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা করা হয়েছে। আশা করা হয়েছিল, তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু বাস্তবে গেরুয়া শিবির যেন ভোটের ফল মুখ থুবড়ে পড়েছে। একদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করেছিল যে এবার বিজেপি ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে বাংলার মসনদে বসবে। বরং হল উল্টো। ২১৩ আসন নিয়ে বাংলায় জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ৭৭ আসনেই খেলা থেমে গেল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে বিজেপি ১০০ এর বেশি আসন পেত যদি ভোটগণনায় না কোনো কারচুপি হত। তবে বলে রাখা ভাল, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রথমে মমতা জিতলেও পরে বলা হয় যে শুভেন্দু জিতে গেছে। এতে ব্যাপক জলঘোলা হলেও শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতা হাইকোর্টে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলতে মুরলীধর সেন লেনে ধরনায় বসে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নন্দীগ্রামে বিজয়ী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “অনেক গণনা কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারচুপি করা হয়েছে। আর এর ফলেই বিজেপি ১০০ এরকম আসন পেয়েছে। আমরা হয়তো সরকার গড়তে পারতাম না। কিন্তু আমারা অনেক বেশি আসন পেতাম।”

Advertisement

তিনি এদিন আরো বলেছেন, গণনা কেন্দ্রে যদি কারচুপি না করা হতো তাহলে বিজেপি ১০০ এর বেশি আসন পেয়ে যেত। বিজেপির ভোট দাঁড়াতো আড়াই কোটিতে। আমরা এর বিচার চাই। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব। সব ইভিএম আবার গণনার দাবি করব। এছাড়াও তিনি বলেছেন যে নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় দারুণ কাজ করলেও শেষের দিকে ভোট গণনার সময় ঠিকমতো কাজ করেনি। তাদের ভুলের জন্য বিজেপি আজ এত পিছিয়ে আছে। আমরা আদালতের কাছে ২৯২ টি কেন্দ্রের ইভিএমের পুনরায় গণনার দাবি জানাবো।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও গণনা সুষ্ঠুভাবে হয়নি। বহু গণনা কেন্দ্রে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বদ শোনার পর কমিশন কোভিড বিধি মানতে গিয়ে গননা টেবিলের থেকে ৬ ফুট দূরে বসে ছিল। এতে তারা ঠিকমতো গণনার ফল দেখতে পাইনি।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button